বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশের হাওড়, বিল, নদী বা সমুদ্রে প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়ে। কাঁচা অবস্থায় সব মাছ বিক্রি করা সম্ভব হয় না। তাই এসব মাছ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বা উন্নত উপায়ে শুকিয়ে রাখতে পারলে বছর ব্যাপী ব্যবসা করা যায়। সমুদ্র, নদী বা হাওড় অঞ্চলের যে কোন ব্যক্তি মাছ শুকানোর ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
বাজার সম্ভাবনা
যে সব অঞ্চলে বেশি পরিমাণ মাছ ধরা পড়ে সেখানে মাছ শুকানো ব্যবসা লাভজনক হতে পারে। টাটকা মাছ থেকে শুঁটকী মাছে আমিষের পরিমাণ বেশি থাকে। পরিস্কার-পরিছন্ন পরিবেশে মাছ শুকিয়ে সংরক্ষণ করে সারা বছর বিক্রি করা সম্ভব।
প্রয়োজনীয় মূলধন
আনুমানিক ১০০০-১২০০ টাকা মূলধন নিয়ে মাছ শুকানোর ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। এ ব্যবসা শুরু করতে যদি নিজের কাছে প্রয়োজনীয় পুঁজি না থাকে তবে ঋণদানকারী ব্যাংক (সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক)বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান (আশা, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্রাক, প্রশিকা) থেকে শর্ত সাপেক্ষে স্বল্প সুদে ঋণ নেয়া যেতে পারে।
ব্যাংকঃ
সোনালী ব্যাংকঃ http://www.sonalibank.com.bd/
জনতা ব্যাংকঃ http://www.janatabank-bd.com/
রূপালী ব্যাংকঃ http://www.rupalibank.org/rblnew/
অগ্রণী ব্যাংকঃ http://www.agranibank.org/
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকঃ www.krishibank.org.bd/
এনজিও
আশাঃ http://asa.org.bd/
গ্রামীণ ব্যাংকঃ http://www.grameen-info.org/
ব্রাকঃ http://www.brac.net/
প্রশিকাঃ http://www.proshika.org/
আনুমানিক আয় ও লাভের পরিমাণ
খরচ
স্থায়ী যন্ত্রপাতির অবচয় (ক্ষতি)
|
৪-৫ টাকা
|
কাঁচামাল
|
৭০০-৮০০ টাকা
|
মোট=৭০৪-৮০৫ টাকা
|
আয়
১ কেজি কাঁচা মাছ থেকে ২৫০ গ্রাম শুঁটকি মাছ পাওয়া যায়,
১ কেজি শুঁটকি বিক্রি হয়
|
৩২০-৩৭০ টাকায়
|
২.৫ কেজি শুঁটকি বিক্রি হয়
|
৮০০-৯২৫ টাকায়
|
লাভ
২.৫ কেজিতে আয়
|
৮০০-৯২৫ টাকা
|
২.৫ কেজিতে খরচ
|
৭০০-৮০৫ টাকা
|
লাভ=৯৬-১২০ টাকা
তবে সময় ও স্থানভেদে এর কম বা বেশি লাভ হতে পারে।
|
প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান
স্থায়ী উপকরণ
উপকরণ
|
পরিমাণ
|
আনুমানিক মূল্য (টাকা)
|
প্রাপ্তিস্থান
|
মাটির হাঁড়ি (বড়)
|
১টি
|
২০০-২১০
|
কুমার বাড়ি
|
ছুরি
|
১টি
|
৪০-৪৫
|
তৈজসপত্রের দোকান
|
পলিপ্রোপাইল পেপার
|
২০টি
|
৩০-৪০
|
মুদি দোকান
|
মোট=২৭০-২৯৫ টাকা
|
কাঁচামাল
উপকরণ
|
পরিমাণ
|
আনুমানিক মূল্য (টাকা)
|
প্রাপ্তিস্থান
|
মাছ (পুঁটি)
|
১০ কেজি
|
৭০০-৮০০
|
জেলেদের কাছ থেকে কেনা সম্ভব
|
মোট=৭০০-৮০০ টাকা
|
মাছ শুকানোর নিয়ম
১ম ধাপ
একটি ছুরি দিয়ে মাছের পেট কেটে নাড়ি-ভুঁড়ি বের করে ফেলতে হবে।
২য় ধাপ
মাছগুলো ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে পলিথিন পেপারের উপর বিছিয়ে ২/৩ দিন কড়া রোদে শুকাতে হবে।
৩য় ধাপ
এরপর পুঁটি মাছের নাড়ি-ভুঁড়ি জ্বাল দিলে যে তেল বের হয় সেটা একটি বড় মাটির হাঁড়ির মধ্যে মাখিয়ে নিতে হবে।
৪র্থ ধাপ
এবার শুকানো মাছগুলোতে জ্বালানো তেল মাখিয়ে নিতে হবে। তেল মাখানো মাছগুলো ঐ মাটির হাঁড়ির মধ্যে রেখে মাটির ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। হাঁড়িটি মাটিতে গর্ত খুঁড়ে তার মধ্যে রাখতে হবে।
৫ম ধাপ
দুই আড়াই মাস পর সেগুলো বিক্রির উপযোগী হবে। এবার এগুলো নির্দিষ্ট পরিমাণ মেপে প্যাকেট করে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
মাছ শুকানোর ব্যবসায় খুব বেশি স্থায়ী উপকরণের প্রয়োজন হয় না। পুঁজির পরিমাণের উপর নির্ভর করে কাঁচা মাছ কিনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে শুকিয়ে সারা বছর ধরে বিক্রি করা যায়।
তথ্য:
তথ্য আপা
No comments:
Post a Comment
Thanks For Your Message
এবিসি মেশিনারি লিমিটেড।
Call: 01977886660, 01758631813
মেশিন কেনার জন্য - http://www.abcshopbd.com/