সম্ভাব্য পুঁজি: ১০০০০ টাকা থেকে ২০০০০ টাকা পর্যন্ত
সম্ভাব্য লাভ:
এক কেজি ময়দায় ৬৫ পিস পাপড় হয়। প্রতিটি পাপড়ের উৎপাদন খরচ ১ থেকে ২ টাকা। বিক্রয় মূল্য ৫ টাকা।
সুবিধা:
অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা। দৈনিক ভিত্তিতে লোক রেখে এ ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব।
অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা। দৈনিক ভিত্তিতে লোক রেখে এ ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব।
প্রয়োজন যা:
ময়দা, বেসন, সয়াবিন তেল, কালিজিরা, লবণ ও ফুড কালার।
ময়দা, বেসন, সয়াবিন তেল, কালিজিরা, লবণ ও ফুড কালার।
প্রস্তুত প্রণালি:
প্রথমে একটি বড় পাত্রে ময়দা নিয়ে এর সঙ্গে পরিমাণমতো লবণ, কালিজিরা, খাওয়ার সোডা, বেসন ও খাবারের রং ভালোভাবে মেশাতে হবে। এবার এক হাঁড়ি পানি দিয়ে চুলা জ্বালাতে হবে। পানি ফুটে উঠলে হাঁড়ির ওপর একটা স্টিলের প্লেট বসিয়ে তাতে গোল এক চামচ মিশ্রণ ঢেলে দিয়ে প্লেটটি ঘুরিয়ে মিশ্রণটুকু পাপড়ের আকারে গোল করতে হবে। কিছুক্ষণ পর পাপড়টি ভাপে সেদ্ধ হলে নামিয়ে রোদে শুকাতে হবে। এরপর সেগুলো ভেজে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রথমে একটি বড় পাত্রে ময়দা নিয়ে এর সঙ্গে পরিমাণমতো লবণ, কালিজিরা, খাওয়ার সোডা, বেসন ও খাবারের রং ভালোভাবে মেশাতে হবে। এবার এক হাঁড়ি পানি দিয়ে চুলা জ্বালাতে হবে। পানি ফুটে উঠলে হাঁড়ির ওপর একটা স্টিলের প্লেট বসিয়ে তাতে গোল এক চামচ মিশ্রণ ঢেলে দিয়ে প্লেটটি ঘুরিয়ে মিশ্রণটুকু পাপড়ের আকারে গোল করতে হবে। কিছুক্ষণ পর পাপড়টি ভাপে সেদ্ধ হলে নামিয়ে রোদে শুকাতে হবে। এরপর সেগুলো ভেজে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
বাজারজাতকরণ:
মচমচে ও মুখরোচক খাবার বিধায় সব বয়সী মানুষই পাপড় পছন্দ করে। লোকসমাগম বেশি, এমন স্থানে এর ব্যবসা ভালো চলবে।
যোগ্যতা:
বিশেষ যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। দু/তিন দিন প্রশিক্ষণ নিয়েই পাপড় তৈরি করা যায়। পাপড় তৈরি করেন এমন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে শিখে নেয়া যেতে পারে।
ফুলতলার দক্ষিণডিহি পাপড় শিল্পের জন্য ঐতিহ্য
পাপড় শিল্প বাংলার ঐতিহ্যের একটি আদি নাম। ‘পাপড়’ শব্দটির সাথে পরিচিত নন এমন লোক খুজে পাওয়া খুবই কষ্ট সাধ্য। অধিকাংশ লোকই খাবারের বিভিন্ন উপকরনের সাথে পাপড় খেতে ভাল বাসেন। এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আড্ডায় পাপড় না হলে মনে হয় যেন আড্ডাটা পূর্ণঙ্গতা পাচ্ছে না। ঈদ মেলা,পূজা মেলা,বৈশাখী মেলাসহ বিভিন্ন মেলাতে এই পাপড়ের জুড়ি নাই।
আর যাদের জীবন জীবিকা এই পাড়র শিল্পের উপর নির্ভরশীল এমন একটি জায়গা হচ্ছে খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহি গ্রাম। এখানে প্রায় ৬০ জন মালিক দীর্ঘদিন যাবৎ এই পাপড় শিল্পের সাথে যুক্ত। তাদের জীবন জীবিকা এই পাপড়ের উপর সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভরশীল। ১৩ বছর যাবৎ এ শিল্পের সাথে যুক্ত তাপস কুন্ডু(৪৩) জানান এটি তৈরী করতে মাসকলাই ডাউল, খেসারীর ডাউল, লবণ, তৈল, চাউলের গুড়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের এ শিল্পকে মারাত্মক ভাবে বাধা গ্রস্থ করছে। তবে এটির সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকার কারণে অন্য কোন কাজ শিখিনী’’ ফলে একাজই করতেই হয়। তবে ৬ জনের পরিবারের ভরন পোষন মোটা মুটি ভাবে চলে যায়।
পাঁচ হাজার পাপড়ের গুটি তৈরী করতে খেসারীর ডাউল ৩০ কেজি,প্রতিকেজি ৩৭ টাকা, মাসকলাই ২০ কেজি, প্রতি কেজি ৭৫ টাকা,চাউলের গুড়া ৩০কেজি, প্রতি কেজি ২৯ টাকা দর। অন্যন্য উপকরণ ২০০ টাকা। পাপড় তৈরীর কারীগর (বেলনীদের) দিতে হয় ১৭৫ টাকা, প্রতি হাজার ৩৫ টাকা। সর্বমোট ৫০০০ পাঁপড় তৈরী করতে খরচ হয় ৩৮৫০/=টাকা। ৭০টাকা দরে প্রতি কেজি পাপড় বিক্রয় হলে মোট ৪৯০০/= টাকার পাপড় বিক্রয় হয়। ফলে পাঁচ হাজার পাপড়ে লাভ হয় ১০৫০ টাকা। এর সাথে যুক্ত মালিক মধুকুন্ডু, লক্ষণ কুন্ডু, খোকন কুন্ডু, রমজান আলীসহ অনেক ব্যবসায়ী বলেন এই সামান্য লাভ তাও সবসময় পাওয়া যায় না। কারণ বিক্রয়ের জন্য বাড়তি পরিবহন খরচ এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণেও অনেক সময় মাল পঁচে যায়। ফলে ঐসময় আমাদের মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। বর্তমানে খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কেশবপুর, রাজশাহী, যশোর, নড়াইল, ফরিদপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণডিহিতে পাপড় পাইকারী ও খুচরা ক্রয় করতে আসেন ক্রেতারা।
অন্যদিকে দক্ষিণডিহি ও তত্ত্বীপুর গ্রামে পাপড় তৈরীর কারীগর (বেলানী) শারমিন খাতুন(১৭), ইয়াসমিন খাতুন(২০), মর্জিনা খাতুন(২৮), তাসলিমা খাতুন(৩৩), জুলেখা বেগম(৪৬) জানান আমাদের পাপড় বেলতে মালিক পক্ষ প্রতি হাজারে ৩৫ টাকা করে দেয়। যা পরিশ্রমের হিসাব করলে অনেক কম তবে একাজটি করার জন্য আমাদের বাইরে বেরোতে হয়না এবং এটি নিজ বাড়ীতে বসেই কাজের ফাঁকে করতে পারি। বি,এ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ইয়াসমিন খাতুন(১৮) জানান পারিবারিক ভাবে কিছুটা আর্থিক অস্বচ্ছলতা থাকার কারণে পড়াশুনার খরচ ও নিজের খরচ পরিবারের কিছুটা লাঘবের জন্য তার এই বেলানীর কাজ করা। ইয়াসমিন বলেন, ভাল ভাবে একজন বেলানী প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ঘণ্টা পরিশ্রমে ৫ হাজার পাপড় বেলে ১৭৫ টাকা আয় করতে পারে।
পাপড় তৈরীর কারীগর (বেলানীদের) পারিশ্রমিক সম্পর্কে মালিক রনজিতা কুন্ডু(৪৬) স্বামী অশোক কুন্ডু এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান পারিশ্রমিক ‘‘হিসেবমত কম হয়ে যাই কিন্তু কি করব’’ দ্রব্যমূল্যের দাম বেশী হওয়ায় সকল খরচ করার পারই যে লাভ থাকে তাতেঁ ভালো ভাবে আমার পরিবারে ৪জনের সংসার চলে না।
এ অঞ্চলের প্রায় ২০০ পরিবার যারা প্রত্যোক্ষ ও পরক্ষ ভাবে এই পাপড় শিল্পের সাথে তাদের ভাগ্য জড়িত। পাপড় শিল্পের আরো অগ্রসর হওয়ার জন্য সুদ মুক্ত সরকারী ভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে আরো অগ্রগতি হবে বলে এমনটাই জানান এই পাপড় শিল্পের সাথে যুক্ত দক্ষিণডিহিবাসী।
অন্যদিকে দক্ষিণডিহি ও তত্ত্বীপুর গ্রামে পাপড় তৈরীর কারীগর (বেলানী) শারমিন খাতুন(১৭), ইয়াসমিন খাতুন(২০), মর্জিনা খাতুন(২৮), তাসলিমা খাতুন(৩৩), জুলেখা বেগম(৪৬) জানান আমাদের পাপড় বেলতে মালিক পক্ষ প্রতি হাজারে ৩৫ টাকা করে দেয়। যা পরিশ্রমের হিসাব করলে অনেক কম তবে একাজটি করার জন্য আমাদের বাইরে বেরোতে হয়না এবং এটি নিজ বাড়ীতে বসেই কাজের ফাঁকে করতে পারি। বি,এ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ইয়াসমিন খাতুন(১৮) জানান পারিবারিক ভাবে কিছুটা আর্থিক অস্বচ্ছলতা থাকার কারণে পড়াশুনার খরচ ও নিজের খরচ পরিবারের কিছুটা লাঘবের জন্য তার এই বেলানীর কাজ করা। ইয়াসমিন বলেন, ভাল ভাবে একজন বেলানী প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ঘণ্টা পরিশ্রমে ৫ হাজার পাপড় বেলে ১৭৫ টাকা আয় করতে পারে।
পাপড় তৈরীর কারীগর (বেলানীদের) পারিশ্রমিক সম্পর্কে মালিক রনজিতা কুন্ডু(৪৬) স্বামী অশোক কুন্ডু এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান পারিশ্রমিক ‘‘হিসেবমত কম হয়ে যাই কিন্তু কি করব’’ দ্রব্যমূল্যের দাম বেশী হওয়ায় সকল খরচ করার পারই যে লাভ থাকে তাতেঁ ভালো ভাবে আমার পরিবারে ৪জনের সংসার চলে না।
এ অঞ্চলের প্রায় ২০০ পরিবার যারা প্রত্যোক্ষ ও পরক্ষ ভাবে এই পাপড় শিল্পের সাথে তাদের ভাগ্য জড়িত। পাপড় শিল্পের আরো অগ্রসর হওয়ার জন্য সুদ মুক্ত সরকারী ভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে আরো অগ্রগতি হবে বলে এমনটাই জানান এই পাপড় শিল্পের সাথে যুক্ত দক্ষিণডিহিবাসী।
তথ্য:
তথ্য আপা
No comments:
Post a Comment
Thanks For Your Message
এবিসি মেশিনারি লিমিটেড।
Call: 01977886660, 01758631813
মেশিন কেনার জন্য - http://www.abcshopbd.com/