চিপস এক ধরনের তেলে ভাজা মচমচে ও মজাদার খাবার। ছোটবড় সবার কাছে চিপস খুব প্রিয় একটি খাবার। নাস্তা হিসেবে বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য গ্রাম শহর নির্বিশেষে কলার চিপস ব্যবহৃত হয়। ঘরে বসেই যে কোনো নারী বা পুরুষ কলার চিপস তৈরি করে ব্যবসা শুরু করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। অল্প পুঁজি দিয়ে এই ব্যবসা করা যায় বলে আগ্রহী নারী-পুরুষ যে কেউ কলার চিপস তৈরি ও বাজারজাত করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ঘরে বসে কলার চিপস তৈরি করা যায়। তাই বাড়তি জায়গার প্রয়োজন হয় না এবং পরিবারের ছোটবড় সবাই এ কাজে সাহায্য করতে পারে।
যে সকল ব্যবসা অল্প পুঁজি নিয়ে শুরু করে লাভবান হওয়া সম্ভব তার মধ্যে কলার চিপস অন্যতম। চিপস এক ধরণের তেলে ভাজা মচমচে ও মজাদার খাবার। ছোট-বড় সবার কাছে চিপস খুব প্রিয় একটি খাবার। নাস্তা হিসেবে বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য গ্রাম শহর নির্বিশেষে কলার চিপস ব্যবহত হয়। ঘরে বসেই যে কোন নারী বা পুরুষ কলার চিপস তৈরি ব্যবসা শুরু করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
যে সকল ব্যবসা অল্প পুঁজি নিয়ে শুরু করে লাভবান হওয়া সম্ভব তার মধ্যে কলার চিপস অন্যতম। চিপস এক ধরণের তেলে ভাজা মচমচে ও মজাদার খাবার। ছোট-বড় সবার কাছে চিপস খুব প্রিয় একটি খাবার। নাস্তা হিসেবে বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য গ্রাম শহর নির্বিশেষে কলার চিপস ব্যবহত হয়। ঘরে বসেই যে কোন নারী বা পুরুষ কলার চিপস তৈরি ব্যবসা শুরু করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
- কলার চিপস্ তৈরি
- বাজার সম্ভাবনা
- মূলধন
- প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান
- কলার চিপস তৈরির নিয়ম
- আনুমানিক আয় ও লাভের পরিমাণ
বাজার সম্ভাবনা
কলার চিপস সহজেই তৈরি করা যায়। অল্প পুঁজি দিয়ে এই ব্যবসা করা যায় বলে আগ্রহী নারী-পুরুষ যে কেউ কলার চিপস তৈরি ও বাজারজাত করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ঘরে বসে কলার চিপস তৈরি করা যায়। তাই বাড়তি জায়গার প্রয়োজন হয় না এবং পরিবারের ছোট-বড় সবাই এ কাজে সাহায্য করতে পারে। কলার চিপস্ তৈরি করে বিভিন্ন উপায়ে বাজারজাত করা যায়। যেমন :
কলার চিপস সহজেই তৈরি করা যায়। অল্প পুঁজি দিয়ে এই ব্যবসা করা যায় বলে আগ্রহী নারী-পুরুষ যে কেউ কলার চিপস তৈরি ও বাজারজাত করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ঘরে বসে কলার চিপস তৈরি করা যায়। তাই বাড়তি জায়গার প্রয়োজন হয় না এবং পরিবারের ছোট-বড় সবাই এ কাজে সাহায্য করতে পারে। কলার চিপস্ তৈরি করে বিভিন্ন উপায়ে বাজারজাত করা যায়। যেমন :
- খাবারের দোকানে সরবরাহ করা যেতে পারে।
- নিজেই কোন দোকান দিয়ে সেখানে বিক্রি করা যেতে পারে ।
- অনেক সময় ক্রেতা বাড়ীতে এসেই কিনে নিয়ে যেতে পারে।
- নিজের তৈরি খাবারের প্রচার চালানোর জন্য প্রথমে প্রতিবেশীদেরকে জানানো যেতে পারে, স্থানীয় দোকানীর সাথে যোগাযোগ করা যায়। আবার খাবারের বর্ণনা করে লিফলেট তৈরি করেও বিলি করা যেতে পারে।
মূলধন
আনুমানিক ১৯০০ - টাকা মূলধন নিয়ে কলার চিপস্ ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। বড় আকারে কলার ২১০০ তৈরি চিপস্ রি ব্যবসা শুরু করতে নিজের কাছে যদি প্রয়োজনীয় পুঁজি না থাকে তবে ঋণদানকারী ব্যাংক(সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক , রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক), বেসরকারী প্রতিষ্ঠান (আশা, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্রাক, প্রশিকা) থেকে শর্ত সাপেক্ষে স্বল্প সুদে ঋণ নেয়া যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান
স্থায়ী উপকরণ
উপকরণ
|
পরিমাণ
|
আনুমানিক মূল্য (টাকা)
|
প্রাপ্তিস্থান
|
কড়াই
|
১টি
|
১৫০-১৬০
|
তৈজসপত্রের দোকান
|
গামলা
|
১টি
|
৬০-৬৫
|
তৈজসপত্রের দোকান
|
ছুরি
|
১ টি
|
৪০-৪৫
|
তৈজসপত্রের দোকান
|
দাঁড়িপাল্লা
|
১ সেট
|
২৫০-২৬০
|
হার্ডওয়ারের দোকান
|
চালুনি
|
১টি
|
৪০-৪৫
|
তৈজসপত্রের দোকান
|
ট্রে
|
২টি
|
৩০০-৩১০
|
তৈজসপত্রের দোকান
|
খুমিত্ম (জালি)
|
১টি
|
৫০-৬০
|
তৈজসপত্রের দোকান
|
চুলা
|
১টি
|
১০০-১১০
|
বানিয়ে নেয়া যায়
|
চিকন কাঠি
|
১টি
|
১০-১৫
|
বানিয়ে নেয়া যায়
|
মোট=১০০০-১০৭০ টাকা
|
কাঁচামাল
উপকরণ
|
পরিমাণ
|
আনুমানিক মূল্য (টাকা)
|
প্রাপ্তিস্থান
|
কাঁচা কলা
|
৬০ কেজি
|
৬০০-৬৫০
|
মুদি দোকান
|
সয়াবিন তেল
|
৬ কেজি
|
২৪০-২৫০
|
মুদি দোকান
|
লবণ
|
১ কেজি
|
১৬-১৮
|
মুদি দোকান
|
বিট লবণ
|
১ কেজি
|
২০-২৫
|
মুদি দোকান
|
গোল মরিচ
|
২০০ গ্রাম
|
৫০-৫৫
|
মুদি দোকান
|
মোট=৯২৬-৯৯৮ টাকা
|
কলার চিপস তৈরির নিয়ম
- প্রথমেই পরিণত ও তাজা কলা সংগ্রহ করতে হবে।
- কলার বোটা ও শেষ দিক থেকে সামান্য কেটে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। কলার খোসা উপর থেকে নীচের দিকে কেটে দু’দিক থেকে ছাড়িয়ে নিতে হবে।
- একটা বড় পরিস্কার গামলায় পরিমাণ মতো পানি নিতে হবে। যাতে কলাগুলো ডুবে থাকে। পানিতে পরিমাণ মতো লবণ গুলিয়ে নিতে হবে। কলাগুলো এর মধ্যে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য ডুবিয়ে রাখতে হবে। এর ফলে কলার আঠা বের হয়ে যাবে।
- কলাগুলো লবণ গোলানো পানি থেকে তুলে অন্য একটা বড় গামলায় রেখে পরিস্কার ধারালো বটি বা ছুরি দিয়ে চাক চাক করে কাটতে হবে।
- কাটার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন চাকগুলো পরিমাণ মতো পাতলা ও সমান হয়।
- চুলার উপর কড়াই-এ পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল নিয়ে গরম করতে হবে। এমন পরিমাণ তেল নিতে হবে যেন কলার টুকরাগুলো ডুবে থাকে।
- তেল গরম হলে কলার টুকরাগুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। গরম তেলে কলার টুকরাগুলো চিকন কাঠি দিয়ে জট ছাড়িয়ে নিতে হবে। তা না হলে একটা কলার টুকরার সাথে অন্যটা লেগে যাবে।
- কলার টুকরাগুলো অল্প তাপে বাদামী রঙে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে টুকরাগুলো জালি খুন্তির সাহায্যে তেল ঝরিয়ে তুলে একটা পরিস্কার ও শুকনো ট্রেতে রাখতে হবে। ট্রের উপর একটা পরিস্কার কাগজ রাখা ভাল। তাহলে কাগজ বাড়তি তেল শুষে নিবে।
- অল্প গরম থাকতেই চিপস এর সাথে পরিমাণ মতো বিট লবণ ও গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে।
সাবধানতা
- খাদ্য তৈরির কাজ যারা করে তাদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা খুবই জরুরী। কলার চিপস তৈরি করার শুরুতেই মাথা ঢেকে নিতে হবে। সাবান ও পরিস্কার পানি দিয়ে হাত ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
- দরকারী উপকরণগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও যত্ন করে রাখতে হবে।
আনুমানিক আয় ও লাভের পরিমাণ
খরচ
স্থায়ী যন্ত্রপাতির অবচয় (ক্ষতি) বাবদ
|
৪-৫ টাকা
|
কাঁচামাল বাবদ
|
৯২৬-৯৯৮ টাকা
|
জ্বালানী ও যাতায়াত
|
২০০-২২০ টাকা
|
মোট=১১৩০-১২২৩ টাকা
|
আয়
৬০ কেজি কলায় ২০ কেজি চিপস তৈরি সম্ভব
১ কেজি চিপস বিক্রি হয়
|
৮০-৮৫ টাকা
|
২০ কেজি চিপস বিক্রি হয়
|
১৬০০-১৭০০ টাকা
|
লাভ
২০ কেজি চিপসে আয়
|
১৬০০-১৭০০ টাকা
|
২০ কেজি চিপসে খরচ
|
১১৩০-১২২৩ টাকা
|
লাভ =৪৭০-৪৭৭ টাকা
তবে সময় ও স্থানভেদে এর কম বা বেশি লাভ হতে পারে।
|
স্থায়ী উপকরণগুলো একবার কিনলে অনেকদিন ধরে কাজ করা যাবে। ব্যবসার শুরুতেই এ খরচটি করতে পারলে পরবর্তীতে শুধু কাঁচামাল কিনে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব।
সংগৃহীত ও সংকলিত
তথ্য:
তথ্য আপা
No comments:
Post a Comment
Thanks For Your Message
এবিসি মেশিনারি লিমিটেড।
Call: 01977886660, 01758631813
মেশিন কেনার জন্য - http://www.abcshopbd.com/