শুরু করতে পারেন মোটর সাইকেল আমদানির ব্যবসা। - ব্যবসায়ী আইডিয়া

বিজ্ঞাপন

LightBlog

New

Post Top Ad

Monday, November 14, 2016

শুরু করতে পারেন মোটর সাইকেল আমদানির ব্যবসা।

আমাদের দেশে অতিতে যেমন মোটোর সাইকেলের মার্কেট ছিলো, এখন তার চেয়েও বেশি মার্কেট এই পণ্য এর, তাই সবার মতো আপনিও ইচ্ছে করলেই এই ব্যবসায় নেমে পরতে পারেন আজি, অনেকে আর্থিক সামর্থ বা ইচ্ছা থাকার পরেও কোন গাইড লাইন না জানার জন্য অনেকেই ব্যবসা করতে পারছেন না, তাই কিবাভে কি করবেন তাই নিয়ে আজকের এই পোষ্ট-


১- মোটরসাইকেল আমদানি করার পদ্ধতি।
২- ব্যক্তিগত ভাবে মোটরসাইকেল আমদানি করা যাবে কিনা।
৩- ১৫০ সি সি এর উপরে মটরসাইকেল চালানো বা আমদানি করা যাবে কিনা।
৪- রিকন্ডিশন মোটরসাইকেল আমদানি করা যাবে কিনা।
৫- আমদানিকৃত মটরসাইকেল এর শুল্ক বা ট্যাক্স এর প্রসঙ্গ।
উল্লেখ্য যে বিগত বছর গুলোর তুলনায় চলতি অর্থ বছরে ২০১৬-১৭ ফোর স্ট্রোক এর ৫০ সিসি থেকে অনধিক ২৫০ সিসি ক্ষমতাযুক্ত মোটরসাইকেল এর আমদানিশুল্ক অনেকটা কমিয়ে আনা হয়েছে। ফোর স্ট্রোক এর ৫০ সিসি থেকে অনধিক ২৫০ সিসি ক্ষমতাযুক্ত মোটরসাইকেল এর সর্বমোট আমদানিশুল্ক ধার্য করা হয়েছে শতকরা ১৫১%। 




https://ylx-4.com/fullpage.php?section=General&pub=826963&ga=g
                                                                                                             সুত্রঃ বাইকবিডি

যদি ও পুলিশ ছাড়া ১৫৫ সিসি এর অধিক ক্ষমতাযুক্ত মটরসাইকেল ব্যবহার করার অনুমতি নেই। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ১৫০ সিসি এর অধিক ক্ষমতাযুক্ত মটরসাইকেল এর অনুমতি দেয়া হয়ে থাকে নিলাম আর বিশেষ অনুমতিক্রমে। ভারত ও বাংলাদেশ সরকার ল্যান্ড কাস্টমস এর মাধ্যমে মটরসাইকেল আমদানিরপ্তানি বানিজ্যকে অনুমোদন দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভারত থেকে যশোর এর বেনাপোল কাস্টমস এর মাধ্যমে সরকপথে মোটরসাইকেল আমদানি করা যাবে। মটরসাইকেল আমদানিজনিত কার্যাধি অনেকের কাছেই অনেক কঠিন বলে মনে হয়। কিন্ত এটা সাধারন একটা ব্যাপার।



যে কেউ চাইলে আমদানি নিবন্ধন করে মটরসাইকেল আমদানি করতে পারেন। চাইলে আমদানি নিবন্ধন এর পরে নিজে ভারতে গিয়ে মটরসাইকেল আমদানি করা সম্ভব। উল্লেখ্য কলকাতা থেকে বেনাপোল/পেট্রাপোল কাস্টমস এর দুরত্ব মাত্র ৮৭ কিঃমিঃ। আর বেনাপোল থেকে ঢাকার দূরত্ব ২৭০ কিঃমিঃ এর মত। এক্ষেত্রে ট্রান্সপোর্ট খরচ ও অনেক কম। কলকাতা থেকে বেনাপোল অবধি মটরসাইকেল পরিবহন খরচ ৮০০ থেকে ১২০০ রুপি বাংলা টাকায় ১০০০ থে ১৫০০ টাকা।


আমদানি নিবন্ধন এর আগে ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে যার আনুমানিক খরচ ৪/৫ হাজার টাকা। আর আমদানি নিবন্ধন ফি এর বিবরন অ্যাটাচমেন্ট এ দেয়া হল। R15, CBR, PULSAR, FAZER, FZS এই মটরসাইকেল গুলো নতুন বা রিকন্ডিশন যেকোন অবস্থাতেই আমদানি করা হোক না কেনো, বাংলাদেশের বাজারমূল্য এর তুলনায় ২৫% থেকে ৪০% কম খরচে আমদানি করা সম্ভব। ৩ টি অ্যাটাচমেন্ট দেয়া হলো। ৮৭১১.২০.৯২ সিরিয়ালটি মটরসাইকেল এর ট্যারিফ কোড।

https://ylx-4.com/fullpage.php?section=General&pub=826963&ga=g
( ছবিতে দেখা না গেলে সেইভ করে জুম করে দেখুন ) সুত্রঃ বাইকবিডি


আন্তর্জাতিক মার্কেট থেকে তেল আমদানি করতে মিনিমাম এক কন্টিনার, মানে ২০ থেকে ২৫ জন তেল আমদানি করতে হয়। আমদিনি করতে যা যা লাগে -




১। প্রথমে আপনাকে ভালো মানের মোটর সাইকেল কিনতে হবে, তাই আপনাকে ব্যাংক LC করতে হবে,
২। বাংলাদেশে আসার পর তা BTRC থেকে পরিক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
৩। ১৫১% ডিউটি ট্যাক্স দিতে হবে,
৪। ১% রেফারেন্স ভেলু ট্যাক্স দিতে হবে,
৫। আর অনান্য কিছু খরচ দিতে হবে।

মনেকরেন এক কন্টিনার মোটর সাইকেল বিদেশ থেকে আনেন (এক কন্টিনারে প্রায় ২০ পিস মোটর সাইকেল দরে), বাংলাদেশে সকল খরচ বাদ দিয়ে যদি আপনার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র না থাকে, তাহলে আমাদের দিয়ে বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান দিয়ে আমদানি করালে প্রায় -

যদি মার্কেট রেট 650$ per Ton হয়, তাহলে 20 pcs এর প্রাইজ হবে 13000$

প্রতি ডলার যদি 80 টাকা করে হয় তাহলে 13000 ডলার গুন 80 টাকা করে হবে        = 10,40,000 টাকা
আর ১৫১% ডিউটি                                                                                           = 15,70,400 টাকা
Taka with 151% TAX                                                                 ------------------------------------
                                                                                                                        = 26,10,400 Taka

Taka with 151% TAX                                                                                    = 26,10,400 Taka
রেফারেন্স ভেলু ৫ %                                                                                          = 13,0520  টাকা
Other                                                                                                              = 50,000 টাকা
                                                                                                    ------------------------------------
                                                                                                       মোট   = 27,90,920  টাকা





তাহলে সকল খরচ সহ বাংলাদেশে এনে প্রতি পিস এর প্রাইজ পড়বে 27,90,920 টাকায়

যদি প্রতি পিস বাংলাদেশে এনে 1,65,000 টাকায় সেল করেন তাহলে পাবেন - 
20 গুন 1,90,000 টাকা পিস  = 33,00,000 টাকা
খরচ                                   = 27,90,920 টাকা
                            ---------------------------------------
লাভ হলো                             = 5,09,080 টাকা

বর্তমানে চায়না বাইকের চাহিদা প্রচুর, তাই ২০-৩০ লক্ষ টাকা খাটিয়ে ৫-৬ লক্ষ টাকা আয় করা খারাপ না, আপনার আয় বাড়বে, এখানে সব কিছুর দাম বেশি করে ধরা হয়েছে, কিন্তু যখন ব্যবসা করবেন, তখন খরচ কমবে আপনার পরিচিতির ও বুদ্ধির কারনে , তাই তখন আয় আরও বেশি হবে।



তবুও যদি কারো বুঝতে সমস্যা হয়, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা সাধ্য অনুযায়ি হ্যাল্প করতে চ্যাস্টা করবো।








Tag: মোটর সাইকেল আমদানি পদ্ধতি, মোটর সাইকেল এর ব্যবসা, ভারত থেকে মোটর সাইকেল আনার উপায়, বিদেশ থেকে মোটর সাইকেল আনার নিয়মন, চায়না থেকে মোটর সাইকেল আনার উপায়, mahadi trade, 01977886660, motorcycle import, motorcycle wholesale in Bangladesh, low price motorcycle in Bangladesh, motorcycle business in bangladesh.



অন্যান্য গুলো দেখুনঃ 


No comments:

Post a Comment

Thanks For Your Message
এবিসি মেশিনারি লিমিটেড।
Call: 01977886660, 01758631813
মেশিন কেনার জন্য - http://www.abcshopbd.com/

অন্যান্য বিষয় খুজুন-

Post Top Ad