আপনিও শুরু করতে পারেন ব্রডব্যান্ড এর ব্যবসা।
এখন ব্যবসা করতে চাইলে নতুন চিন্তা ভাবনা করতে হয়। যুগের সাথে তাল মিলাতে হয়। একটু ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করতে হয়। তাহলেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছা সহজ হয়। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে চলেছে দ্রুত গতিতে। আর ইন্টারনেট সেই পথে দারুণ গতি এনেছে। তরুণ থেকে বয়স্ক সবাই এখন ইন্টারনেট ইউজ করে। পাড়ার ছোট্ট চা দোকানদারও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফেসবুক ইউজ করে। খবর পড়ে। ড্রাইভার, ইমোর মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে এখন অশিক্ষিত মানুষও। বলা যায়, তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকে আমাদের দেশ খুব বেশি এগোতে না পারলেও দিন দিন এর সাফল্য বাড়ছে। স্বাধীন পেশা ফ্রিল্যান্সিং এ তরুণ ও যুবকরা এগিয়ে চলেছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। বাংলাদেশের সাফল্য সফটওয়্যার রফতানিতেও এসেছে। নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও তরুণ প্রজন্ম ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে এগিয়ে চলছে সমান তালে। যদিও উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে দেখতে পাই তারা এখন ফাইভ জি নেটওয়ার্ক নিয়ে এগিয়ে চলছে সেখানে আমরা এখনও থ্রিজি সেবা পৌঁছে দিতে পারছি না সব কয়টি জেলা ও উপজেলা শহরে। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে আর এই পিছিয়ে পড়া থেকে এগিয়ে যাওয়ার পথে তৈরি হয়েছে নতুন ব্যবসার সম্ভাবনা। তা হলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কি?
একদম সহজ ভাষায় বলা যায়, কম টাকায় উচ্চ গতির ইন্টারনেট পাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। আনলিমিটেড প্যাকেজ, স্বল্প মূল্য এবং নিরবিচ্ছিন্ন সঠিক গতির নিশ্চয়তার কারণে অধিকাংশ মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে আগ্রহী। কিন্তু আমাদের দেশের খুব কম জায়গাতেই পাওয়া যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসা যদিও অনেক কম ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এ ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে শুরু করতে পারছেন না অনেকেই। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা মূলত ইন্টারনেট ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা। বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন ভাবেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। যেমন ওয়ারল্যাস, ওয়াইফাই, ওয়াইম্যাক্স, ব্রডব্যান্ড। এগুলোর মধ্যে গ্রাহকদের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সবচেয়ে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেয়া যায়।
ব্রডব্যান্ডের ব্যবসা করতে হলে কি করতে হবে?
আপনি যদি এই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী হন তাহলে সর্বপ্রথম ধারণা নিন আপনার নির্ধারিত ব্যবসায়িক এলাকায় কম্পিউটারে ইন্টারনেট,মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কেমন। যদি সন্তোষজনক হয় তাহলে শুরু করতে পারেন। ব্রডব্যান্ড ব্যবসা করার জন্য বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নিতে হবে আপনাকে। লাইসেন্স করার জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। ফরমে বর্ণিত সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে বিটিআরসি হেড অফিসে জমা দিতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আবেদন করার তিন মাসের মধ্যেই লাইসেন্স পেয়ে যাবেন আপনি। আর লাইসেন্স পাওয়ার পর তখন আপনাকে কিনতে হবে ব্যান্ডউইথ। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসার জন্য সবার আগে প্রয়োজন হবে ব্যান্ডউইথ। আর ব্যান্ডউইথ আসে অপটিক্যাল ফাইবারের অথবা রেডিও লিংক এর মাধ্যমে। তাই প্রথমে দেখতে হবে যে আপনার ব্যবসায়ীক এলাকায় অপটিক্যাল ফাইবার আছে কিনা। শুধু ফাইবার থাকলেই হবে না কানেকশন দেয়ার পপস পোর্টও থাকতে হবে। বিটিসিএলের ফাইবার লাইনের পপস পোর্ট আছে শুধুমাত্র জেলা শহরগুলোতে। তাতে টেনশন করার কিছু নেই।
আর কম দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করেও সারাদেশে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে এমন কয়েকটি আইআইজি হল বিটিসিএল, ম্যাঙ্গো টেলিকম, ম্যাক আইটি, সামিট কামিউনিকেশন, বাংলা ফোন, ভার্গো কামিউনিকেশন, ফাইবার অ্যাট হোম, নভোকম ও বিডি লিংক কামিউনিকেশন। আমাদের দেশে মোট ৩৬টি ব্যান্ডউইথ প্রোভাইডার রয়েছে। আপনি আপনার চাহিদা ও পছন্দ মতো এদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে ব্যান্ডউইথ কিনে নিতে পারবেন। যদি আপনার কাছাকাছি পোর্ট থাকে তাইলে ব্যবসা শুরু করতে আর বাধা নেই। কাছাকাছি না হয়ে একটু দূরে পোর্ট থাকলে সেখান থেকেও রেডিও লিংক করে আনতে পারবেন। আর যদি পপস পোর্টের দূরত্ব বেশি হয় তাইলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ নিতে পারবেন বা মাইক্রোওয়েভ দ্বারা কানেক্টেড মোবাইল টাওয়ারের বিটিএস থেকেও নিতে পারবেন ব্যান্ডউইথ। তবে এই দুই পদ্ধতিতেই ব্যান্ডউইথের দাম অনেক বেশি পরবে। বিভাগীয় শহরগুলোতে অনেক আইএসপি কম দামে সাবলাইন দিয়ে থাকে। তাদের থেকে ব্যান্ডউইথ নিয়েও ব্যবসা করতে পারবেন আপনি। আপনাকে এই ব্রডব্যান্ড ব্যবসা করতে হলে কিছু যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। সেগুলো হল স্পিড কন্ট্রোল করার জন্য মাইক্রোটিক রাউটার, মিডিয়া কনভার্টার, ক্যাবল, পিসি, বেজ স্টেশন স্থাপন করার জন্য সুইচ ও বক্স। সেই সাথে আপনাকে চব্বিশ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে মাইক্রোটিক রাউটার চালু রাখার জন্য। এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে এত সব কিছুর আয়োজন করে ব্যবসা করতে নামতে হলে আপনার কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। হ্যাঁ তাই বলছি, প্রাথমিকভাবে ৪ - 5 লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলেই শুরু করতে পারবেন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ব্যবসা। এরপর আপনাকে পর্যায়ক্রমে ব্যবসার পরিধির উপর বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
প্রাথমিক বিনিয়োগ থেকে আপনি প্রতি মাসে আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আর তা ব্যবসার পরিধি বাড়ার সাথে সাথে আয়ের পরিমাণও বাড়বে। প্রথমেই বলেছি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায় ঝুঁকি অনেক কম। কারণ এই ব্যবসায় শুরুতেই একবার সব কিছু স্থাপন করে নিলে তারপর ব্যান্ডউইথ কেনা ছাড়া তেমন কোন খরচ নেই। বর্ষাকালটা যদিও ব্রডব্যান্ড ব্যবসার জন্য শত্রুতামূলক আচরণ করে। কারণ বজ্রপাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। আপনি যে ব্যবসা শুরু করেছেন তা আকর্ষণীয় করে মানুষকে জানাতে হবে। আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রচার করতে হবে। কারণ প্রচারই প্রসার। আপনার ব্যবসায়িক এলাকায় আপনি যে ব্রডব্যান্ড ইন্টানেটের সার্ভিস নিয়ে এসেছেন সেই খবর মানুষকে দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিতে হবে। যেহেতু আপনি একটা এলাকা টার্গেট করে ব্যবসায় নামবেন সেহেতু মার্কেটিংয়ের জন্য আপনাকে তেমন বড় বাজেট রাখতে হবে না। চমক লাগানো লিফলেট করবেন। লিফলেটের মধ্যে আপনার প্যাকেজসমূহ, প্যাকেজ মূল্য, স্পিড, শর্তাদি ইত্যাদি বিস্তারিত লিখে আপনার টার্গেটকৃত এলাকায় বিতরণ করতে হবে। আগে থেকেই কোন আইএসপি থাকলে তাদের সাথে কম্পেয়ার করে রেট নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া সরাসরি বাসায় বাসায় গিয়ে, মাইকিং করে, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে, আপনার এলাকার পত্রিকার এজেন্টের সাথে কথা বলে পত্রিকার ভেতরে লিফলেট দিয়ে প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারেন। পরিচিত মহলকে অনুরোধ করেও মার্কেটিং করতে পারেন। সবচেয়ে বড় বিষয় মার্কেটিং করা। এই ব্যবসা যেহেতু ব্যবহারকারী ভিত্তিক এবং এক ব্যবহারকারীর সাথে আরেক ব্যবহারকারী সম্পর্কযুক্ত থাকে তাই আপনার বর্তমান ব্যবহারকারীদের বিশেষ ডিসকাউন্টের অফার দিয়ে প্রভাবিত করেও উইজার বাড়াতে পারবেন। এছাড়াও এমন ঘোষণা দিতে পারেন প্রথম নির্দিষ্ট সংখ্যার কিছু ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট পাবেন। এতে করে দ্রুত কাস্টমার পাওয়া আপনার জন্য সহজ হবে।
এই ব্যবসায় আপনি কর্মী নিয়োগ দিতে চাইলে দেখতে হবে সে মাইক্রোটিক রাউটার কন্ট্রোলিংয়ের কাজ জানে কিনা, নতুন পোর্ট বানানো, সুইচ, কানেকশন দিতে পারে কিনা, যোগাযোগ দক্ষতা কেমন, মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা কেমন। এছাড়াও যোগ্যতা হিসেবে বাই-সাইকেল চালানো জানলে বাড়তি সুবিধা পাবেন। কেননা দূর-দূরান্তে গিয়ে লাইন ঠিক করতে হবে। আপনাকে ব্যবসায় সাফল্য পেতে হলে অবশ্যই আপনার কাস্টমারদের সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তারা কোন কারণে খারাপ কিছু করলেও তাদের উপর রাগ করা যাবে না, সেই ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করতে হবে। যাতে করে ভবিষ্যতে এমন ব্যবহার না করে। আপনার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার জন্য গ্রাহকদের অনেকে গভীর রাতেও ফোন করতে। তাতে বিরক্ত হওয়া চলবে না আপনাকে। আপনার সুন্দর ব্যবহার আর ভালো সেবা আপনার ব্যবসাকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কি?
একদম সহজ ভাষায় বলা যায়, কম টাকায় উচ্চ গতির ইন্টারনেট পাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। আনলিমিটেড প্যাকেজ, স্বল্প মূল্য এবং নিরবিচ্ছিন্ন সঠিক গতির নিশ্চয়তার কারণে অধিকাংশ মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে আগ্রহী। কিন্তু আমাদের দেশের খুব কম জায়গাতেই পাওয়া যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসা যদিও অনেক কম ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এ ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে শুরু করতে পারছেন না অনেকেই। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা মূলত ইন্টারনেট ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা। বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন ভাবেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। যেমন ওয়ারল্যাস, ওয়াইফাই, ওয়াইম্যাক্স, ব্রডব্যান্ড। এগুলোর মধ্যে গ্রাহকদের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সবচেয়ে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেয়া যায়।
ব্রডব্যান্ডের ব্যবসা করতে হলে কি করতে হবে?
আপনি যদি এই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী হন তাহলে সর্বপ্রথম ধারণা নিন আপনার নির্ধারিত ব্যবসায়িক এলাকায় কম্পিউটারে ইন্টারনেট,মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কেমন। যদি সন্তোষজনক হয় তাহলে শুরু করতে পারেন। ব্রডব্যান্ড ব্যবসা করার জন্য বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নিতে হবে আপনাকে। লাইসেন্স করার জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। ফরমে বর্ণিত সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে বিটিআরসি হেড অফিসে জমা দিতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আবেদন করার তিন মাসের মধ্যেই লাইসেন্স পেয়ে যাবেন আপনি। আর লাইসেন্স পাওয়ার পর তখন আপনাকে কিনতে হবে ব্যান্ডউইথ। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসার জন্য সবার আগে প্রয়োজন হবে ব্যান্ডউইথ। আর ব্যান্ডউইথ আসে অপটিক্যাল ফাইবারের অথবা রেডিও লিংক এর মাধ্যমে। তাই প্রথমে দেখতে হবে যে আপনার ব্যবসায়ীক এলাকায় অপটিক্যাল ফাইবার আছে কিনা। শুধু ফাইবার থাকলেই হবে না কানেকশন দেয়ার পপস পোর্টও থাকতে হবে। বিটিসিএলের ফাইবার লাইনের পপস পোর্ট আছে শুধুমাত্র জেলা শহরগুলোতে। তাতে টেনশন করার কিছু নেই।
আর কম দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করেও সারাদেশে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে এমন কয়েকটি আইআইজি হল বিটিসিএল, ম্যাঙ্গো টেলিকম, ম্যাক আইটি, সামিট কামিউনিকেশন, বাংলা ফোন, ভার্গো কামিউনিকেশন, ফাইবার অ্যাট হোম, নভোকম ও বিডি লিংক কামিউনিকেশন। আমাদের দেশে মোট ৩৬টি ব্যান্ডউইথ প্রোভাইডার রয়েছে। আপনি আপনার চাহিদা ও পছন্দ মতো এদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে ব্যান্ডউইথ কিনে নিতে পারবেন। যদি আপনার কাছাকাছি পোর্ট থাকে তাইলে ব্যবসা শুরু করতে আর বাধা নেই। কাছাকাছি না হয়ে একটু দূরে পোর্ট থাকলে সেখান থেকেও রেডিও লিংক করে আনতে পারবেন। আর যদি পপস পোর্টের দূরত্ব বেশি হয় তাইলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ নিতে পারবেন বা মাইক্রোওয়েভ দ্বারা কানেক্টেড মোবাইল টাওয়ারের বিটিএস থেকেও নিতে পারবেন ব্যান্ডউইথ। তবে এই দুই পদ্ধতিতেই ব্যান্ডউইথের দাম অনেক বেশি পরবে। বিভাগীয় শহরগুলোতে অনেক আইএসপি কম দামে সাবলাইন দিয়ে থাকে। তাদের থেকে ব্যান্ডউইথ নিয়েও ব্যবসা করতে পারবেন আপনি। আপনাকে এই ব্রডব্যান্ড ব্যবসা করতে হলে কিছু যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। সেগুলো হল স্পিড কন্ট্রোল করার জন্য মাইক্রোটিক রাউটার, মিডিয়া কনভার্টার, ক্যাবল, পিসি, বেজ স্টেশন স্থাপন করার জন্য সুইচ ও বক্স। সেই সাথে আপনাকে চব্বিশ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে মাইক্রোটিক রাউটার চালু রাখার জন্য। এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে এত সব কিছুর আয়োজন করে ব্যবসা করতে নামতে হলে আপনার কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। হ্যাঁ তাই বলছি, প্রাথমিকভাবে ৪ - 5 লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলেই শুরু করতে পারবেন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ব্যবসা। এরপর আপনাকে পর্যায়ক্রমে ব্যবসার পরিধির উপর বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
প্রাথমিক বিনিয়োগ থেকে আপনি প্রতি মাসে আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আর তা ব্যবসার পরিধি বাড়ার সাথে সাথে আয়ের পরিমাণও বাড়বে। প্রথমেই বলেছি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায় ঝুঁকি অনেক কম। কারণ এই ব্যবসায় শুরুতেই একবার সব কিছু স্থাপন করে নিলে তারপর ব্যান্ডউইথ কেনা ছাড়া তেমন কোন খরচ নেই। বর্ষাকালটা যদিও ব্রডব্যান্ড ব্যবসার জন্য শত্রুতামূলক আচরণ করে। কারণ বজ্রপাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। আপনি যে ব্যবসা শুরু করেছেন তা আকর্ষণীয় করে মানুষকে জানাতে হবে। আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রচার করতে হবে। কারণ প্রচারই প্রসার। আপনার ব্যবসায়িক এলাকায় আপনি যে ব্রডব্যান্ড ইন্টানেটের সার্ভিস নিয়ে এসেছেন সেই খবর মানুষকে দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিতে হবে। যেহেতু আপনি একটা এলাকা টার্গেট করে ব্যবসায় নামবেন সেহেতু মার্কেটিংয়ের জন্য আপনাকে তেমন বড় বাজেট রাখতে হবে না। চমক লাগানো লিফলেট করবেন। লিফলেটের মধ্যে আপনার প্যাকেজসমূহ, প্যাকেজ মূল্য, স্পিড, শর্তাদি ইত্যাদি বিস্তারিত লিখে আপনার টার্গেটকৃত এলাকায় বিতরণ করতে হবে। আগে থেকেই কোন আইএসপি থাকলে তাদের সাথে কম্পেয়ার করে রেট নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া সরাসরি বাসায় বাসায় গিয়ে, মাইকিং করে, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে, আপনার এলাকার পত্রিকার এজেন্টের সাথে কথা বলে পত্রিকার ভেতরে লিফলেট দিয়ে প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারেন। পরিচিত মহলকে অনুরোধ করেও মার্কেটিং করতে পারেন। সবচেয়ে বড় বিষয় মার্কেটিং করা। এই ব্যবসা যেহেতু ব্যবহারকারী ভিত্তিক এবং এক ব্যবহারকারীর সাথে আরেক ব্যবহারকারী সম্পর্কযুক্ত থাকে তাই আপনার বর্তমান ব্যবহারকারীদের বিশেষ ডিসকাউন্টের অফার দিয়ে প্রভাবিত করেও উইজার বাড়াতে পারবেন। এছাড়াও এমন ঘোষণা দিতে পারেন প্রথম নির্দিষ্ট সংখ্যার কিছু ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট পাবেন। এতে করে দ্রুত কাস্টমার পাওয়া আপনার জন্য সহজ হবে।
এই ব্যবসায় আপনি কর্মী নিয়োগ দিতে চাইলে দেখতে হবে সে মাইক্রোটিক রাউটার কন্ট্রোলিংয়ের কাজ জানে কিনা, নতুন পোর্ট বানানো, সুইচ, কানেকশন দিতে পারে কিনা, যোগাযোগ দক্ষতা কেমন, মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা কেমন। এছাড়াও যোগ্যতা হিসেবে বাই-সাইকেল চালানো জানলে বাড়তি সুবিধা পাবেন। কেননা দূর-দূরান্তে গিয়ে লাইন ঠিক করতে হবে। আপনাকে ব্যবসায় সাফল্য পেতে হলে অবশ্যই আপনার কাস্টমারদের সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তারা কোন কারণে খারাপ কিছু করলেও তাদের উপর রাগ করা যাবে না, সেই ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করতে হবে। যাতে করে ভবিষ্যতে এমন ব্যবহার না করে। আপনার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার জন্য গ্রাহকদের অনেকে গভীর রাতেও ফোন করতে। তাতে বিরক্ত হওয়া চলবে না আপনাকে। আপনার সুন্দর ব্যবহার আর ভালো সেবা আপনার ব্যবসাকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে।
সকল ঝামেলা যদি করতে না পারেন, তাহলে কন্ট্রাকে দিয়ে দিতে পারেন এই কাজ,
যোগাযোগ করুন:
MAC IT- ০১৯৭৭৮৮৬৬৬০
MAC IT- ০১৯৭৭৮৮৬৬৬০
ফেসবুকে: mahadivirus
যা যা লাগবে:
Company এর সাথে যোগাযোগ করে Bandwidth Connection তো নিয়ে এলেন এখন কি করবেন? এখন আপনাকে যা করতে হবে তা হোল Networking অথবা আপনার ইউজারদের মধ্যে Bandwidth Distribute করার জন্য বা ব্রডব্যান্ড ব্যবসা করতে হলে আপনাকে কিছু Device কিনতে হবে। সেগুলি হল স্পিড এবং ইউজার কন্ট্রোল করার জন্য মাইক্রোটিক রাউটার, মিডিয়া কনভার্টার, ক্যাবল, একটি পিসি, বেজ স্ট্যাশন স্থাপন করার জন্য সুইচ ও বক্স। মাইক্রোটিক রাউটার ২৪ ঘণ্টা অন রাখার জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে।
কিছু সংক্ষিপ্ত বর্ণনা সহ নিচে ধাপে ধাপে উল্লেখ করছি আপনাদের সুবিধার জন্য।
MikroTik
১. MikroTik Router Board: MikriTik টা সাধারনত আপনার Bandwidth Manage এবং ইউজারদের Bandwidth Distribute করার জন্য ব্যবহার হয়। আপনি কোন ইউজার কে কত MB Bandwidth দিবেন, কত MB Speed Limit দিবেন, কত MB Data Limit দিবেন তার সব কিছুই আপনারা এই MikriTik এর মাধ্যমে Manage করতে পারবেন। সম্পূর্ণ আপনার User Management বলতে যা কিছু বোঝায় তার সবকিছুই আপনি MikriTik দিয়ে করতে পারবেন। বাজারে আপনারা বিভিন্ন দামের এবং মডেলের MikriTik পাবেন। MikriTik এর বাজার মূল্য ৫০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০০০ টাকা পর্যন্ত এবং এর চাইতেও বেশি দামের MikriTik আপনারা বাজারে পাবেন।
Fiber Optic Cable
২. Fiber Optic Cable: এই Cable ব্যবহার হয় সাধারনত মেইন লাইন টানার জন্য। ISP Company থেকে মেইন লাইন টানার জন্য এবং আপনাদের MikroTik এর LAN port থেকে Local Area Networking এর জন্য এই Cable ব্যবহার হয়। এই Cable এর এক একটা core দিয়ে এক একটা নেটওয়ার্ক বিন্যাস করা যায়। এই ক্যাবলে তামার তারের চেয়ে কাচকে মিডিয়া হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক ইন্টারফের্যান্স নেই। এই ক্যাবলের ডাটা ট্রান্সমিসন স্পীড অনেক বেশী। ফাইবার অপটিক ক্যাবল দুই ধরনের হয়ে থাকে। সিঙ্গল মোড ফাইবার এন্ড মাল্টিমোড ফাইবার। বর্তমানে বাজারে 4 core এর Fiber Optic Cable এর মূল্য প্রতি মিটার 20 টাকা। এছাড়াও আপনারা বাজারে আরও অনেক বেশি core এর Fiber Optic Cable পাবেন...।।
৩.Twisted Pair Cable/ UTP Cable: এই Cable সাধারনত সুইজ থেকে ইউজারদের কম্পিউটার পর্যন্ত ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়ার জন্য ব্যবহার হয়। ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল দুই দরনের হয়ে থাকে। ১. শিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল, ২.আনশিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল।
· শিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল
শিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলে প্রতিটি ট্যুইস্ট জোড়া থাকে একটি করে শক্ত আচ্ছাদনের ভেতর। ফলে ইলেকট্রিক ইন্টারফের্যান্স অনেক কম থাকে। এই ক্যাবলের ডাটা ট্রান্সফার স্পীড ৫০০ এমবিপিএস হয়ে থাকে।
· আনশিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল
আনশিল্ডেড ট্যুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলে পেয়ারের বাইরে অতিরিক্ত কোন শিল্ডিং থাকে না কেবল বাহিরে একটি প্লাষ্টিকের জেকেট থাকে। এই ক্যাবলের ডাটা ট্রান্সফার রেট ১৬ এমবিপিএস।
Switch
৪. Switch: Switch ব্যবহার করা হয় Local Area Network এর মধ্যে ছোট ছোট পপ করার জন্নে। Twisted Pair Cable/ UTP Cable বা Fiber Optic Cable বেশ কিছুদুর টানার পরে একটা নির্দিষ্ট এরিয়াতে বেশ কিছু ইউজার কে একটা UTP Cable অথবা Fiber Optic Cable এর একটা চরে থেকে কানেকশন দিতে এই Device ব্যবহার করা হয়। সুইজ হলো একাধিক পোর্ট বিশিষ্ট ব্রিজ।ইহা প্রতিটি নোডের ম্যাক এড্রেস এর তালিকা সংরক্ষন করে। ইহা ওএসআই মডেল এর ডাটালিংক লেয়ারে কাজ করে।
Media Converter
৫. Media Converter: Fiber Optic Cable এর একটি Core কে Splice Machine এর দ্বারা Patch Cord এর দ্বারা এই Device এর সাথে Connect করে Ethernet Port এ Convert করার জন্য Media Converter ব্যবহার করা হয়। এই Device use করলে Ethernet Speed বেড়ে যায়।
৬. Patch Cord: Fiber Optic Cable এর একটি Core কে Splice Machine এর দ্বারা Patch Cord এর সাথে Joint দিয়ে ব্যবহার করা হয় Media Converter এর সাথে Connect করার জন্য।
৭. Splice Machine: Fiber Optic Cable এর Core Joint এর কাজে Splice Machine ব্যবহার হয়। এটা না কিনলেও চলবে। কারন খুভ বেশি ব্যবহার হয়না, প্রয়োজনে ভাড়া পাওয়া যায়।
মেশিন কেনার জন্য ভিজিট করুন - www.abcshopbd.com
মেশিন কেনার জন্য ভিজিট করুন - www.abcshopbd.com
Router
৮. Router: Router use করা হয় Mobile Device গুলতে WiFi use করার জন্য। ইউজারা সাধারনত তাদের ঘরে Mobile, Laptop অথবা অন্য কোন WiFi Enable Device এ Internet use করার জন্য Router ব্যবহার করে থাকে।
Radio Device
৯. Radio Device: এই Device গুল ব্যবহার করা হয় Long Rang WiFi Zone করার জন্য। এই Device গুল দুই ধরনের হয় একটা 2.4GHZ এবং 5GHZ এর হয়ে থাকে। 2.4GHZ এর Device দিয়ে আমরা Long Rang WiFi Zone করতে পারি কারন আমাদের দেশের WiFi Enable Device গুল 2.4GHZ এর বেশি Support করতে পারে না। আপনারা যারা Long Rang WiFi Zone করতে চান তারা এই Device এর মাধ্যমে Maximum 1KM এরিয়া WiFi Zone করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা এই Device গুলর মাধ্যমে 50+KM Distance এ Bandwidth Through করতে পারবেন। Long Distance এ Bandwidth Through/Received করার জন্য 5GHZ এর Device ব্যবহার করা সবচাইতে বেশি ভালো।
এখানে আপনারা যারা আপনাদের এরিয়াতে ব্রডব্যান্ড ব্যবসা Cable কানেকশন দিয়ে করতে চান তাহলে (Mikrotik Routerboard, Fiber Optic Cable, Twisted Pair Cable/ UTP Cable, Router, Switch, Computer) এই Device গুল ব্যবহার করবেন এবং আপনি যদি আপনার এরিয়াতে ব্রডব্যান্ড ব্যবসা WIFI Connection দিয়ে করতে চান তাহলে আপনার (Mikrotik Routerboard, Computer, Router, Radio Device m2) এই Device গুল ব্যবহার করবেন।
সার্ভার সেটাপঃ
Bandwidth Connection চলে আসলো Device কেনা হয়ে গেল এবং Device সম্পর্কে কিছু ধারনাও হয়ে গেল। এখন আপনি ব্যবসা করবেন কীভাবে বা আপনার এরিয়ার Clint দের Internet Connection কীভাবে দিবেন, কীভাবে তাদের ১টি নির্দিষ্ট Speed Limit দিবেন, কিভাবে MikroTik Configure করবেন? এই সকল বিষয়ে আপনার যদি তেমন কোন ধারনা না থাকে তাহলে এটা নিয়ে আপনার চিন্তা করার কোন কারন নেই এজন্য আমরা আপনাকে সাহায্য করবো। আমরা আপনার Server এবং Networking এর সব কিছু আমাদের নির্দিষ্ট Service Charge নিয়ে Setup করে আপনাকে শিখিয়ে দিবো যে কীভাবে আপনাকে Networking করতে হবে এবং কীভাবে আপনি আপনার Clint দের Service দিতে পারবেন।
ঝুঁকি কতটুকু:
সব ধরনের ব্যবসায় কোম বেশি ঝুঁকি থাকেই কিন্তু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায় ঝুঁকি অনেক কম। কারণ এই ব্যবসায় একবার সব কিছু স্থাপন করে নিলে তারপর ব্যান্ডউইথ ছাড়া তেমন খরচ নেই। বর্ষাকালটা ব্রডব্যান্ড ব্যবসার জন্য শত্রু। বজ্রপাতে যন্ত্রপাতি পুড়ে যায়।ব্যান্ডউইথ কিনব 23০০ করে বিক্রি করব ১0০০ করে তাইলে আমার লাভ কই:
ধরুন ১ এমবিপিএস ডেডিকেটেড ব্যান্ডউইথ নিলেন ২৩০০ টাকা দিয়ে। ইউজার বেশি হলে এই ১ এমবি থেকে ৬ জনকে ১ এমবিপিএস করে দিতে পারবেন। কারণ হচ্ছে ৩ জন থাকবে অফলাইনে, বাকি ৩ জন একটিভ থাকবে। এই ৩ জনের মধ্যে লোড দিবে ১ জন, বাকি দুইজন লোড বিহীন অবস্থায় নেটে একটিভ থাকবে। সুতরাং ১ এমবি থেকে ৬ জনকে দিলেও ফুল স্পিডই পাবে। আপনি ১ এমবি থেকে দিচ্ছেন ৬ এমবি। সুতরাং আপনি ১০০০ টাকায় বিক্রি করছেন না বরং ১০০০X৬=৬০০০ টাকায় বিক্রি করছেন। ৬০০০-৩০০০=৩০০০ টাকা আপনার লাভ থাকবে। কিন্তু ৬ জনকে দেওয়ার মত অবস্থায় যেতে হলে অন্তত ১৫০ ইউজার লাগবে। আবার ১৫০ ইউজারের জন্য যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ লাগবে সেগুলি পাইকারি রেটে পাবেন। খুচরা ৩০০০ করে হলে পাইকারি ২০০০-১৮০০ করে পাবেন। ইউজার কম হলে একটিভ রেশিও অনেক বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনি ৬ জনকে দিতে পারবেন না। দিলেও স্পিড পাবে না। তাই শুরুর দিকে১ এমবি থেকে ৩ জনকে দেওয়া হয়। এ কারণে প্রথম দিকে তেমন লাভ হয় না।আয়-ব্যয়:
এই ব্যবসায় আয় গ্রাহকের উপর নির্ভরশীল। যদি গ্রাহক বেশি হয় তাহলে আয়ও বেশি হবে। আপনার এলাকায় যদি আপনিই একমাত্র ISP হয়ে থাকেন তাইলে তো সোনায়-সোহাগা। আপনার ইচ্ছামত প্যাকেজের দাম বসিয়ে আয় করতে পারবেন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলে প্রথমদিকে বেশি আয় করা কঠিন হয়ে পরবে। ৫০ জন ইউজার পেলে প্রতি মাসে ২০,০০০-২৫,০০০ টাকা আয় করা যাবে। এরপর ইউজার যত বাড়বে আয়ও তত বাড়বে।সবার বুঝার সুবিধার্থে আমি পয়েন্ট ভিত্তিক আরও কিছু তথ্য যুক্ত করলাম। আশা করি এরপর সবার কাছে বিষয়টা ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসায় সুবিধা কি কি:
১। এই ব্যবসায় ঝুঁকি কম।২। এই ব্যবসায় একবার সব কিছু সেট আপ করে নিলে আর তেমন খরচ লাগে না।
৩। ব্যবসা বর্ধিত হলেও মূলধন সেই অনুপাতে বাড়াতে হয় না।
৪। সঠিক জায়গা নির্বাচন করে ব্যবসা করতে পারলে দ্রুত লক্ষে পৌছা যায়।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায় কি কি সমস্যায় পরতে পারেন:
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায় যেমন কিছু সুবিধা আছে তেমনি কিছু ঝামেলায়ও পরতে হয়। যেমন –১। লাইন অনেক বড় হলে সেটা রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন হয়ে পরে।
২। লাইনের বিভিন্ন জায়গায় কেটে যায়, সুইচ, লেন কার্ড চুরি হয়ে যায়।
৩। চোরাই লাইন সংযোগ দেয়।
৪। বর্ষাকালে বজ্রপাতে যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়।
কিভাবে শিখবেন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা:
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায় কিছু টেকনিক্যাল বিষয় আছে। আপনাকে অবশ্যই সেগুলি রপ্ত করতে হবে। মাইক্রোটিক রাউটারে ইউজার কন্ট্রোল করা, সুইচ ফিট করা, নতুন সংযোগ দেওয়া শিখতে হবে। তবে এইগুলা শিখা কোন কঠিন কাজ নয়। বই/ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখলেই অনায়াসেই শিখতে পারবেন। এছাড়া আমাদের কাছে শর্ট ক্লাস করেও শিখে নিতে পারেন।
ব্রডব্যান্ড ব্যবসার মার্কেটিং করবেন কিভাবে:
আপনি যে ব্রডব্যান্ড ইন্টানেটের সার্ভিস নিয়ে এসেছেন সেটা তো মানুষকে জানাতে হবে। আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই বিজ্ঞাপন/প্রচার করতে হবে। যেহেতু আপনি একটা এলাকা টার্গেট করে ব্যবসায় নামবেন সেহেতু এতে মার্কেটিং করতে তেমন বড় বাজেট রাখতে হয় না। লিফলেটে আপনার প্যাকেজ সমূহ, প্যাকেজ মূল্য, স্পিড, শর্তাদি ইত্যাদি বিস্তারিত লিখে আপনার টার্গেটকৃত এলাকায় বিতরণ করতে হবে। আগে থেকেই কোন আইএসপি থাকলে তাদের সাথে কম্পেয়ার করে রেট নির্ধারণ করতে হবে। এ ছাড়া সরাসরি বাসায় বাসায় গিয়ে, মাইকিং করে, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে, পরিচিত মহলকে অনুরোধ করেও মার্কেটিং করা যায়। এই ব্যবসা যেহেতু ব্যবহারকারী ভিত্তিক এবং এক ব্যবহারকারীর সাথে আরেক ব্যবহারকারী লাগোয়া থাকে তাই আপনার বর্তমান ব্যবহারকারীদের বিশেষ ডিসকাউন্টের অফার দিয়ে প্রভাবিত করেও উইজার বাড়াতে পারবেন। এ ছাড়া এমন ঘোষণা দিতে পারেন প্রথম এতজন ব্যবহারকারী এত পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট পাবেন। তাতে দ্রুত কাস্টমার পেতে সাহায্য করবে।নতুনরা এই ব্যবসায় যে ভুল করতে পারে:
নতুনরা এই ব্যবসায় এসে প্রথমেই যেই ভুলটি করতে পারে সেটা হচ্ছে সঠিক জায়গা নির্বাচন করতে না পারা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা এমন জায়গা চয়েজ করে বসে যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ কম্পিউটার ব্যবহারকারী নেই। এ ছাড়া ঐখানে যদি প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে তাইলে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে সে সম্পর্কে ধারনা না রাখা। আবার অনেক সময় ব্যান্ডউইথ প্রোভাইডার থেকে অনেক দূরে বিজনেসে শুরু করে দিতে পারে। এতে বিনিয়োগ করতে হয় অনেক বেশি। সাথে সার্ভিসও তেমন ভাল হয় না।কর্মী লাগলে তার যোগ্যতা কেমন চাই:
যদি এই ব্যবসায় আপনাকে কোন কর্মী নিয়োগ দিতে হয় তাইলে দেখতে হবে মাইক্রোটিক রাউটার কন্ট্রোলিং এর কাজ জানে কিনা, নতুন পোর্ট বানানো, সুইচ, কানেকশন দিতে পারে কিনা, যোগাযোগ দক্ষতা কেমন, মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা কেমন এসব দেখতে হবে। এ ছাড়া যোগ্যতা হিসেবে বাই সাইকেল চালানো জানতে হবে। কেননা দূর দূরান্তে গিয়ে লাইন ঠিক করতে হবে।কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
১। প্রথম দিকে মুনাফা করার চেয়ে ব্যবহারকারী বৃদ্ধির দিকে নজর দিন।২। অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে তুলনামূলক কম মূল্যে সেবা দিন।
৩। সার্বক্ষণিক সাপোর্টের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। লাইনে কোন সমস্যা হলে দ্রুত সেটা মেরামত করতে হবে।
৫। ২৪ ঘণ্টা সার্ভার আপ রাখতে হবে। তার জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬। আপনার সার্ভিসে ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট হচ্ছে কিনা সেটার খোজ খবর নিতে হবে। তাতে করে আপনার গ্রহণযোগ্যতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
সফলরা কি বলে:
বছর দুই এক ধরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসা করছেন এমন অনেক সাথে কথা বলে জানা যায়। তারা জানান প্রথমে তারা বিটিসিএল বা অন্য বেসরকারি আইএসপি থেকে লাইন নিয়ে অল্প পরিসরে নিজের বাসাকেই অফিস বানিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। তারা প্রথমেই ৫-১০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ আর ১৫-৩০ জন গ্রাহক নিয়ে স্টার্ট করেন। প্রথম মাসে তাদের আয় হয় মাত্র ২০০০-১০০০০ টাকা। বর্তমানে তাদের অনেকেরি মোট গ্রাহক ১৫০-২০০+। প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ৬০০০০-১৫০০০০ টাকার উপরে। তারা বলেন, এই ব্যবসায় ধৈর্য আর লেগে থাকতে হবে। কাস্টমারদের সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তারা খারাপ কিছু করলেও তাদের উপর রাগ করা যাবে না। গভীর রাতেও অনেকে ফোন করতে পারে। তাতে বিরক্ত হওয়া চলবে না। যারা এসব করতে না পারবে তাদের উচিত অযথা ব্যবসা করতে এসে মার্কেট নষ্ট না করা।
Visit us
শিডিউল ছাড়া আসবেন না,
Contact Details
ABC ENGINEERING LTD
Rajendrapur Bazar,
(Undar Ground Market), Gazipur-1741, Dhaka.
রাজেন্দ্রপুর বাজার, (অহিদ সুপার মার্কেট, আন্ডার গ্রাউন্ড). গাজীপুর-১৭৪১, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Rajendrapur Bazar,
(Undar Ground Market), Gazipur-1741, Dhaka.
(Undar Ground Market), Gazipur-1741, Dhaka.
রাজেন্দ্রপুর বাজার, (অহিদ সুপার মার্কেট, আন্ডার গ্রাউন্ড). গাজীপুর-১৭৪১, ঢাকা, বাংলাদেশ।
* সকাল ৯ থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত কল দিয়ে পাবেন।
Call: +88 01611418586, 01758631813, 01977886660
* IMO, WhatsApp, Viber +88 01611418585, 01977886660
* e-mail: infoabcltd@gmail.com
We-chat: abc-engineering
web:abcshopbd.com
Call: +88 01611418586, 01758631813, 01977886660
* IMO, WhatsApp, Viber +88 01611418585, 01977886660
* e-mail: infoabcltd@gmail.com
We-chat: abc-engineering
web:abcshopbd.com
We-chat: abc-engineering
web:abcshopbd.com
আমাদের ফলো করুন ফেইসবুকে।
Youtube : mahadivirus
* Facebook : exportbdimport
Youtube : mahadivirus
* Facebook : exportbdimport
অফিস খোলার সময়:
Opening Hours / খোলার সময়-
* এখানে কোন মাল ষ্টক করা হয়না, অর্ডার হলে সাপ্লাই দেওয়া হয়।
* দয়াকরে শুধু ভিজিট করতে কেউ আসবেন না, ওয়েব সাইটে সবকিছুই লিখা আছে অর্ডারের নিয়ম , কোন পণ্য ডেলিভারি দিতে কত সময় লাগে ইত্যাদি আগে ভালো করে দেখে বুঝে তারপড় অফিসে আসবেন অর্ডার দিতে, ধন্যবাদ।
++++++++++(((+++++++++)))++++
No comments:
Post a Comment
Thanks For Your Message
এবিসি মেশিনারি লিমিটেড।
Call: 01977886660, 01758631813
মেশিন কেনার জন্য - http://www.abcshopbd.com/