অল্প টাকায় গোলাপ জল বানানোর ব্যবসা করে পারেন - ব্যবসায়ী আইডিয়া

বিজ্ঞাপন

LightBlog

New

Post Top Ad

Saturday, November 7, 2015

অল্প টাকায় গোলাপ জল বানানোর ব্যবসা করে পারেন

গোলাপ জল তৈরির ঘরোয়া পদ্ধতি-


চিরকাল থেকেই বিভিন্ন কাজে গোলাপ জলের ব্যবহার হয়ে আসছে। খাবারকে সুগন্ধি করা বা রূপকে অনন্য করতে গোলাপ জলের গুরুত্ব উল্লেখ করার মতো। উপকারী এই গোলাপ জল পাওয়ার জন্য আমাদেরকে নির্ভর করতে হয় বিপনি বিতানের ওপর। অথচ, খুব সহজেই ঘরে বসে গোলাপ জল তৈরি করা সম্ভব। আসুন জেনে নেয়া যাক গোলাপ জল তৈরির সহজ পদ্ধতি।
1
যেভাবে করবেন
পাঁচটি তাজা গোলাপ থেকে পাপড়ি ছড়িয়ে নিতে হবে। গোলাপের পাপড়ি গুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। একটি পাত্রে এক লিটার পরিমাণ ফোটানো পানির ভেতর পাপড়ি ছেড়ে দিন। এবার পাত্রটিকে মাঝারী আঁচে ঢাকনা দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। গোলাপের পাপড়ি রঙ হারালে এবং পানির পরিমাণ অর্ধেক হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে আনতে হবে। ঠাণ্ডা হলে পাপড়ি ছেকে পানিটি একটি বোতলে ভরে ফ্রিজে দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করতে পারবেন। এবার নানা প্রয়োজনে ব্যবহার করুন সহজেই।

ব্যবসায়িক ভাবে গোলাপ জল তৈরি করতে পারেন 


ভুমিকা
সাধারণত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় গোলাপজলের চাহিদা বেশি থাকে। গোলাপজল তৈরি করে মুদি ও মনোহারী দোকানে পাইকারি ও খুচরা দামে বিক্রি করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গোলাপজল বিক্রি করা সম্ভব। বাজারের যে স্থানে লোকসমাগম বেশি হয় সেখানে স্থায়ী বা অস্থায়ী দোকান দিয়ে গোলাপজল বিক্রি করা সম্ভব। এছাড়া মাজারের আশেপাশের দোকানে গোলাপজল বিক্রির সম্ভাবনা অনেক বেশি।
গোলাপ জল হচ্ছে এক ধরণের তরল সুগন্ধী। সাধারণত কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ও বিভিন্ন খাবার তৈরির জন্য গোলাপ জল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধর্মীয় উপাসনালয়, মাজার ও মিলাদ মাহফিলগুলোতে গোলাপ জল ব্যবহার করা হয়। একজন বেকার নারী বা পুরুষ ঘরে বসে গোলাপ জল তৈরি করে খুচরা ও পাইকারি দরে বিক্রির মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করতে পারেন, পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার অন্যান্যদের কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারেন।
বাজার সম্ভাবনা
শহর ও গ্রাম সব জাগাতেই গোলাপ জলের চাহিদা রয়েছে। সাধারণত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় গোলাপ জলের চাহিদা বেশি থাকে। গোলাপজল তৈরি করে মুদি ও মনোহারী দোকানে পাইকারী ও খুচরা দামে বিক্রি করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গোলাপ জল বিক্রি করা সম্ভব। বাজারের যে স্থানে লোক সমাগম বেশি হয় সেখানে স্থায়ী বা অস্থায়ী দোকান দিয়ে গোলাপজল বিক্রি করা সম্ভব। এছাড়া মাজারের আশেপাশের দোকানে গোলাপ জলের বাজার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
মূলধন
১২ বোতল গোলাপ জল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনতে আনুমানিক ৫২০-৬৮৫ টাকার প্রয়োজন হবে। যদি ব্যক্তিগত পুঁজি না থাকে তাহলে মূলধন সংগ্রহের জন্য নিকট আত্মীয়স্বজন, ঋণদানকারী ব্যাংক (সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক) বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) -এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এসব সরকারি, বেসরকারি ব্যাংক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (আশা, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্রাক, প্রশিকা) শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান
উপকরণ 
পরিমাণ 
আনুমানিক মূল্য (টাকা) 
প্রাপ্তিস্থান 
গোলাপ ফুল
পরিমাণ মতো
২০০-৩০০
ফুলের দোকান
মাটির বড় পাত্র
১টি
৫০-৬০
মাটির জিনিসপত্রের দোকান
তুলা
১ প্যাকেট
১০-১৫
মুদি দোকান
অটো ডি রোজ
পরিমাণ মতো
১০০-১২০
ক্যামিকেলস্-এর দোকান
ম্যাগনেসিয়া
পরিমাণ মতো
১০০-১২০
ক্যামিকেলস্-এর দোকান
প্লাস্টিক বোতল
১২টি
৬০-৭০
মুদি দোকান
মোট খরচ=৫২০-৬৮৫ টাকা 
গোলাপ জল তৈরির নিয়ম
সাধারণত দু’ভাবে গোলাপজল তৈরি করা হয়
  • প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে
  • কৃত্রিম উপায়ে
প্রাকৃতিক গোলাপ জল তৈরির নিয়ম
প্রাকৃতিক গোলাপ জল প্রকৃতিতে পাওয়া উপাদান দিয়েই তৈরি করা যায়। এক্ষেত্রে যেটা করতে হবে তা হলো-
  • সদ্য ফোটা গোলাপ ফুল নিয়ে পাপড়িগুলোকে আলাদা করতে হবে।
  • পাপড়িগুলো পরিষ্কার ঠান্ডা পানিতে এমনভাবে ধুয়ে নিতে হবে যাতে কোনও ময়লা না থাকে।
  • পাপড়িগুলোকে বড় মাটির পাত্রে রেখে তাতে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি ঢেলে পাত্রটি সাত-আট দিন সূর্যের আলোয় রেখে দিতে হবে।
  • প্রথম তিন চার দিন পাত্রের ভেতরে কিছুই দেখা যাবে না; তবে চতুর্থ বা পঞ্চম দিনে পানির উপর এক ধরণের তেলের মতো দ্রব্য ভাসমান অবস্থায় দেখা যাবে ।
  • আরও দুই দিন রাখলে দেখা যাবে তেলের মতো দ্রব্য ফেনাযুক্ত হয়ে পানির উপরে ভাসছে।
  • পরিষ্কার তুলো দিয়ে সাবধানে ফেনাগুলো তুলে ফেলার পর অবশিষ্ট পানিটাই হচ্ছে গোলাপ জল।
  • যদি ওই গোলাপ জলে আবার গোলাপ পাপড়ি ভিজিয়ে রাখা হয় তাহলে ওই পানিতে আবার ফেনা তৈরি হবে। ফেনাগুলো তুলে নেওয়ার পর অবশিষ্ট পানিটি উৎকৃষ্ট ও ভালো গোলাপ জল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
  • গোলাপ জলের স্বাদ তিক্ত হয়। তাই গোলাপজল তৈরি হয়েছে কি না তা মুখে দিলেই বুঝা যাবে।
কৃত্রিম গোলাপ জল তৈরির নিয়ম
প্রাকৃতিক উপাদান ছাড়াও কৃত্রিম উপায়ে গোলাপ জল তৈরি করা যায়। এক্ষেত্রে যেটা করতে হবে-
  • প্রথমে কাঁচের পাত্রে অটো ডি রোজ এর সঙ্গে ম্যাগনেসিয়া দিয়ে ভালোভাবে নাড়াতে হবে। এই পদার্থ দুটি ভালোভাবে মেশানোর পর তাতে পরিমাণ মতো চোয়ান জল ঢেলে দিতে হবে। এর পর পাত্রটি তিন চারদিন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
  • কৃত্রিম গোলাপ জল তৈরির জন্য বৃষ্টির পানিই ভালো। কিন্তু বৃষ্টির পানি না পাওয়া গেলে চোয়ান জল ব্যবহার করতে হবে।
  • চোয়ান জল তৈরির জন্য প্রয়োজন বক যন্ত্রের। একটি পাত্রে পানি ঢেলে তার মুখ ভালো করে বন্ধ করে শুধুমাত্র একটি নল বসিয়ে দিতে হবে। নলটি লম্বায় দশ বা বারো হাত লম্বা হলে ভালো হয়। নলটির শেষে একটি বোতল রাখতে হবে এবং নলটি ঠান্ডা পানি অথবা বরফ পানির মধ্যে দিয়ে আনতে হবে।
  • এখন পানি ভর্তি পাত্রটির নীচে জ্বাল দিতে হবে।
  • তাপে পানি ফুটতে শুরু করলে এর থেকে এক ধরণের বাষ্প বের হবে। সেই বাষ্প নলের ভেতর দিয়ে যাবার সময় ঠান্ডা পানি অথবা বরফ পানির স্পর্শ পাওয়ার পর আবার তরলে পরিণত হবে এবং নলের মুখে যে বোতল থাকবে তাতে গিয়ে পড়বে। এই পানিকেই চোয়ান জল বলে।
  • তিন/চার দিন পর মিশ্রণ ফিল্টার পেপারে ছেঁকে নিলে খুব ভালো গোলাপ জল পাওয়া যাবে।
  • এই  গোলাপ জলের স্বাদও তিক্ত এবং গন্ধ খুব সুন্দর হবে। কিন্তু গোলাপ ফুল থেকে তৈরি গোলাপ জলের গন্ধ বেশি মিষ্টি হবে।
সাবধানতা
  • গোলাপ ফুল বাছাই করার সময় টাটকা ফুল সংগ্রহ করতে হবে।
  • সুগন্ধীর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আয় ও লাভের হিসাব
গোলাপ জল তৈরি হলে কাঁচের বা প্লাস্টিকের বোতলে ভরে বিক্রি করতে হবে। প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা গোলাপ জল তৈরির প্রকল্পে সময় দিলে ৩৫০০ থেকে ৪০০০ মিলি লিটার গোলাপ জল তৈরি করা যায়। ২০০ মিলি লিটার গোলাপ জল নিয়ে এক বোতল গোলাপ জল হলে এ থেকে ১৮ থেকে ২০ বোতল গোলাপ জল বাজারজাত করা যাবে। প্রতি বোতল গোলাপ জলের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা হলে ২০ বোতল গোলাপ জলের দাম হবে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে ২০ বোতল গোলাপ জল বিক্রি করে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা লাভ করা যাবে।
অনেক সময় জিনিসপত্রের দাম উঠা নামা করে তাই এখানে যে হিসাবটি তুলে ধরা হয়েছে তা শুধুমাত্র ধারণা দেওয়ার জন্য। এই ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এই যে, এর জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। ঘরের একটা কোণা বা বারান্দার এক কোণে পাত্র বসিয়ে সহজেই গোলাপ জল তৈরি করা যায়। এছাড়া পরিবারের ছোট বড় সবাই এই কাজে সাহায্য করতে পারে এবং তেমন পরিশ্রমেরও প্রয়োজন হয় না। গোলাপ জল তৈরি অল্প পূঁজি নিয়ে শুরু করা যায় এবং লাভও বেশি হয়। বৃহৎ আকার ও ক্ষুদ্র আকার দু’ভাবেই গোলাপ জল উৎপাদন করা যায়।

তথ্য: 
তথ্য আপা

No comments:

Post a Comment

Thanks For Your Message
এবিসি মেশিনারি লিমিটেড।
Call: 01977886660, 01758631813
মেশিন কেনার জন্য - http://www.abcshopbd.com/

অন্যান্য বিষয় খুজুন-

Post Top Ad