November 2015 - ব্যবসায়ী আইডিয়া

বিজ্ঞাপন

LightBlog

New

Post Top Ad

Monday, November 9, 2015

অল্প টাকায় করতে পারেন স্ট্রবেরি চাষ

12:05 PM 0

স্ট্রবেরি শীতকালীন দেশের ফল হলেও বর্তমানে বাংলাদেশের যেসব এলাকায় শীত বেশি পড়ে ও অনেক দিন স্থায়ী হয় সেসব এলাকায় বারি স্ট্রবেরি-১ নামে একটি উচ্চফলনশীল জাতের স্ট্রবেরি চাষ করা হচ্ছে। স্ট্রবেরির পাকা ফল টকটকে লাল রঙের হয়। এ ফলটি সুগন্ধিযুক্ত, টক ও মিষ্টি স্বাদের। জমির পাশাপাশি টব, বাড়ির ছাদ বা বারান্দায় এ ফল চাষ করা সম্ভব। আমাদের দেশের অনেক জায়গায় এখন ব্যবসায়িক ভিত্তিতে স্ট্রবেরি চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে।
স্ট্রবেরি (Fragaria ananasa) হচ্ছে Rosaceae পরিবারভুক্ত একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। স্ট্রবেরি মূলত শীত প্রধান অঞ্চলের ফল। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের যেসব এলাকায় শীত বেশি পড়ে ও বেশি দিন থাকে সেসব এলাকায় বারি স্ট্রবেরি-১ নামে একটি উচ্চফলনশীল জাতের স্ট্রবেরি চাষ করা হচ্ছে। স্ট্রবেরির পাকা ফল টকটকে লাল রঙের হয়। এ ফলটি সুগন্ধীযুক্ত, টক মিষ্টি স্বাদের। জমির পাশাপাশি টব, বাড়ির ছাদ বা বারান্দায় এ ফল চাষ করা সম্ভব। বর্তমানে আমাদের দেশের রাজশাহী, যশোর, শ্রীমঙ্গল, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ প্রভৃতি জায়গায় ব্যবসায়িক ভিত্তিতে স্ট্রবেরি চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে। একজন বেকার নারী বা পুরুষ নিজের কর্মসংস্থান ব্যবস্থার জন্য নিজের জমিতে অথবা বর্গা নেওয়া জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
বাজার সম্ভাবনা
আকর্ষণীয় রঙ, গন্ধ ও উচ্চ পুষ্টিমানের জন্য বর্তমানে স্ট্রবেরি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল। ফল হিসেবে সরাসরি খাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন খাবারের সৌন্দর্য ও সুগন্ধ বাড়ানোর জন্য এটা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশের বড় বড় শহরগুলোতে স্ট্রবেরির চাহিদা আছে। স্ট্রবেরি বেশি দামে বিক্রি করা যায় তাই এর চাষ খুবই লাভজনক। এছাড়া দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত উৎপাদন বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সহায়তা দিয়ে থাকে। স্ট্রবেরি বিদেশে রপ্তানি করার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় মূলধন
 এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে স্ট্রবেরি চাষের জন্য প্রায় ৬০০০০ টাকার প্রয়োজন হবে। যদি ব্যক্তিগত পূঁজি না থাকে তাহলে মূলধন সংগ্রহের জন্য নিকট আত্মীয়স্বজন, ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের (এনজিও) সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এসব সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।
ব্যাংকঃ
সোনালী ব্যাংকঃ http://www.sonalibank.com.bd/
জনতা ব্যাংকঃ http://www.janatabank-bd.com/
রূপালী ব্যাংকঃ http://www.rupalibank.org/rblnew/
অগ্রণী ব্যাংকঃ http://www.agranibank.org/
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকঃ www.krishibank.org.bd/
এনজিও
আশাঃ http://asa.org.bd/
গ্রামীণ ব্যাংকঃ http://www.grameen-info.org/
ব্রাকঃ http://www.brac.net/
প্রশিকাঃ http://www.proshika.org/
আয়-ব্যয় ও লাভের হিসাব
স্ট্রবেরি উৎপাদন খরচ   
১বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে ফসল উৎপাদন খরচ
খরচের খাত
পরিমাণ
আনুমানিক মূল্য (টাকা)
বীজ/চারা
৪০০০টি
৪০০০০
জমি তৈরি
চাষ ও মাদা তৈরি
১৫০০
পানি সেচ
৪টি
১০০০
শ্রমিক
৩০ জন
৪৫০০
সার
প্রয়োজন অনুসারে জৈব সার

এই সার বাড়িতেই তৈরি করা সম্ভব। তাই এর জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন নেই।
বিকল্প হিসেবে
টিএসপি=২৭ কেজি (১ কেজি=২৩ টাকা)
ইউরিয়া=৩৪ কেজি (১ কেজি=১৫ টাকা)
এমপি=৩০ কেজি (১ কেজি=২৮ টাকা)
জিপসাম=২০ কেজি (১ কেজি=১২ টাকা)
জিংক সালফেট=৩৩৫ গ্রাম (১ কেজি=৮০ টাকা)


২২৫০
কীটনাশক
প্রয়োজন অনুসারে জৈব বা রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার
নিজস্ব/দোকান
জমি ভাড়া
একবছর
৪০০০
মাটির জৈব গুণাগুণ রক্ষা ও উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য জৈব সার ও জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে লাভের পরিমাণ বাড়তে পারে।
আয় ও লাভ
প্রতি গাছে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম বারি স্ট্রবেরি-১ জন্মালে প্রতিবিঘা থেকে প্রায় ১.৫ থেকে ২ টন ফল পাওয়া সম্ভব।
প্রতি কেজি যদি গড়ে ৫০০.০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয় তাহলে মোট আয় হবে:
১৫০০×৫০০ = ৭,৫০,০০০ টাকা (প্রতিবিঘা)।
সুতরাং সম্ভাব্য নীট লাভ হবেঃ
৭,৫০,০০০- ৫৩,২৫০ = ৬,৯৬,৭৫০.০০ টাকা
পুষ্টিমান
স্ট্রবেরি অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি ফল। এতে পানি, খাদ্যশক্তি, আমিষ, চর্বি, শর্করা, অশোধিত আঁশ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ভিটামিন-সি, নিয়াসিন ও ভিটামিন-এ আছে।
স্ট্রবেরি উৎপাদন কৌশল
বারি স্ট্রবেরি-১ এর বৈশিষ্ট্য
১. বারি স্ট্রবেরি-১ বাংলাদেশের সব জায়গায় চাষ করার উপযোগী একটি উচ্চফলনশীল জাত।
২. সাধারণত গাছের গড় উচ্চতা ৩০ সে.মি. এবং বিস্তার ৪৫-৫০ সে.মি. হয়ে থাকে। 
৩. সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রোপণ করা হলে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করে এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। 
৪. প্রতি গাছে গড়ে ৩২টি ফল হয়, যার গড় ওজন ৪৫০ গ্রাম। প্রতি বিঘায় ফলন ১.৫-২ টন। 
৫. ফল দেখতে ছোট ও মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। 
৬. পাকা ফল আকর্ষণীয় টকটকে লাল রঙের। ফলের ত্বক নরম ও কিছুটা খসখসে। ফল সম্পূর্ণরূপে খাওয়া  যায়। 
৭. স্ট্রবেরির জাতটি যথেষ্ট পরিমাণ সরু লতা (runner) ও চারা উৎপাদন করে তাই এর বংশবিস্তার সহজ।
চাষের উপযোগী পরিবেশ ও মাটি
মাটির প্রকৃতি
জলবায়ু
তাপমাত্রা
দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি
ভাদ্র থেকে আশ্বিণ মাস (মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য অক্টোবর)
দিন ও রাতে যথাক্রমে ২০-২৬º ও ১২-১৬º সে.
চারা উৎপাদন
১. স্ট্রবেরি সরু লতার মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে থাকে। তাই আগের বছরের গাছ নষ্ট না করে জমি থেকে তুলে জৈব পদার্থ আছে সেরকম হালকা ছায়াযুক্ত জায়গায় রোপণ করতে হবে। 
২. ওই গাছ থেকে উৎপন্ন রানারে যখন শেকড় বের হবে, তখন তা কেটে ভালোভাবে মেশানো গোবর মাটি দিয়ে ভরা পলিথিন ব্যাগে (৪"X৩") লাগাতে হবে এবং তা হালকা ছায়াযুক্ত নার্সারিতে সংরক্ষণ করতে হবে। 
৩. অতিরিক্ত বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য বর্ষা মৌসুমে চারার ওপর পলিথিনের ছাউনি দিতে হবে। 
৪. রানারের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা হলে স্ট্রবেরির ফলন ক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। তাই ফলন ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য তিন বছর পরপর টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উৎপাদিত চারা ব্যবহার করা ভালো।
জমি তৈরি 
১. স্ট্রবেরি উৎপাদনের জন্য কয়েকবার চাষ ও মই দিয়ে ভালোভাবে জমি তৈরি করতে হবে।
২. আগাছা বিশেষ করে বহু বর্ষজীবী আগাছা জমি থেকে উঠিয়ে ফেলতে হবে।
চারা রোপণ 
১. চারা রোপণের জন্য বেড পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। এ জন্য এক মিটার চওড়া এবং ১৫-২০ সে.মি. উঁচু বেড তৈরি করতে হবে। দুটি বেডের মাঝে ৫০ সে.মি. নালা রাখতে হবে। 
২. প্রতি বেডে ৫০ সে.মি. দূরত্বে দুই সারিতে ৫০ সে.মি. দূরে দূরে চারা রোপণ করতে হবে।
সার প্রয়োগ
কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে স্ট্রবেরি চাষের জমিতে যতটুকুসম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। নিজের গবাদি পশু না থাকলে পাড়া-প্রতিবেশি যারা গবাদি পশু পালন করে তাদের কাছ থেকে গোবর সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশে-পাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদি স্তুপ করে রেখে আবর্জনা পচা সার তৈরি করা সম্ভব।
পানি সেচ ও নিষ্কাশন 
১. স্ট্রবেরি চাষে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। জমিতে রসের অভাব দেখা দিলে পর্যাপ্ত পানি সেচ দিতে হবে। 
২. স্ট্রবেরি জলাবদ্ধতা মোটেই সহ্য করতে পারে না। তাই বৃষ্টি বা সেচের অতিরিক্ত পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
রোগবালাই
১. কোন কোন সময়, বিশেষ করে বেশি কুয়াশা পড়লে পাতায় বাদামি রঙের দাগ দেখা যায়। এ রোগের আক্রমণ হলে ফলন এবং ফলের গুণগত মান কমে যায়।
২. ফল পচা রোগের আক্রমণে ফলের গায়ে জলে ভেজা বাদামি বা কালো দাগের সৃষ্টি হয়। দাগ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ফল খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যায়।
৩. ভারটিসিলিয়াম উইল্ট রোগে আক্রান্ত গাছ হঠাৎ করে দূর্বল ও বিবর্ণ হয়ে যায়। আক্রমণ বেশি হলে গাছ বাদামি বর্ণ হয়ে মারা যায়। সাধারণত জলাবদ্ধ জমিতে এ রোগের আক্রমণ বেশি হয়।
৪. ভাইরাস রোগের আক্রমণে স্ট্রবেরির ফলন ক্ষমতা এবং গুণগতমান কমে যেতে থাকে। সাদা মাছি পোকা এ ভাইরাস রোগ ছড়ায়।
প্রতিকার
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে পোকা দমন না হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে।
চাষের সময়ে পরিচর্যা
১. সরাসরি মাটির সংস্পর্শে এলে স্ট্রবেরির ফল পচে নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর স্ট্রবেরির বেড খড় বা কাল পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। 
২. খড়ে যাতে উইপোকার আক্রমণ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। জমি সবসময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
৩. গাছের গোড়া থেকে নিয়মিতভাবে রানার বের হয়, যা ফল উৎপাদনে বাধা দেয়। এজন্য ওই রানারগুলো নিয়মিত কেটে ফেলতে হবে। রানার কেটে না ফেললে গাছের ফুল ও ফল উৎপাদন দেরিতে হয় এবং কমে যায়।
মাতৃগাছ রক্ষণাবেক্ষণ 
১. স্ট্রবেরির গাছ কড়া সূর্যের তাপ এবং ভারি বর্ষণ সহ্য করতে পারে না। এজন্য মার্চ-এপ্রিল মাসে হালকা ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুবা ফল তোলার পর মাতৃগাছ তুলে টবে রোপণ করে ছায়ায় রাখতে হবে।
২. ফল তোলা শেষ হওয়ার পর সুস্থ-সবল গাছ তুলে পলিথিন ছাউনির নিচে রোপণ করলে মাতৃ গাছ থেকে উৎপাদিত রানার পরবর্তী সময়ে চারা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
ফল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ 
১. ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে (সেপ্টেম্বর প্রথম সপ্তাহে) রোপণকৃত বারি স্ট্রবেরি-১ এর ফল সংগ্রহ পৌষ মাস থেকে শুরু হয় এবং ফাল্গুন মাস পর্যন্ত (ডিসেম্বর থেকে মার্চ) চলে। 
২. ফল পেকে লাল রঙ হলে ফল সংগ্রহ করতে হবে। 
৩. স্ট্রবেরির সংরক্ষণ কাল খুবই কম তাই ফল সংগ্রহের পরপর তা টিস্যু পেপার দিয়ে মুড়িয়ে প্লাস্টিকের ঝুড়ি বা ডিমের ট্রেতে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে ফল গাদাগাদি অবস্থায় না থাকে।
৪. ফল সংগ্রহের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাজারজাত করতে হবে। স্ট্রবেরি সংরক্ষণ গুণ ও পরিবহন সহিষ্ণুতা কম হওয়ায় বড় বড় শহরের কাছাকাছি এর চাষ করা উত্তম।
উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ
প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৭ হাজার চারা রোপণ করা যায়। প্রতি গাছে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম বারি স্ট্রবেরি-১ জন্মালে প্রতিবিঘা থেকে প্রায় ১.৫ থেকে ২ টন ফল পাওয়া সম্ভব।
সাবধানতা
পাখি, বিশেষ করে বুলবুলি ও শালিক স্ট্রবেরি ফলের সবচেয়ে বড় শত্রু। ফল আসার পর সম্পূর্ণ পাকার আগেই পাখির উপদ্রব শুরু হয়। ফুল আসার পর সম্পূর্ণ বেড জাল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যাতে পাখি ফল খেতে না পারে।
প্রশিক্ষণ
স্ট্রবেরি চাষ করার আগে অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে এ সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নিতে হবে। এছাড়া চাষ সংক্রান্ত কোন তথ্য জানতে হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ  করা যেতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্ধারিত ফি-এর বিনিময়ে কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
স্ট্রবেরি একটি পুষ্টিকর ফল। আমাদের দেশের বড় বড় শহরগুলোতে স্ট্রবেরির অনেক চাহিদা আছে। তাই স্ট্রবেরি চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদন বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা সম্ভব।
কিছু উল্লেখযোগ্য কেস স্টাডি
বান্দরবানে জুম চাষের স্থান দখলে নিচ্ছে স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরি গাছের পরিচর্যা করছেন আদিবাসী মাচিং নু
বান্দরবানের আদিবাসী মাচিং নু মার্মা জেলায় প্রথম স্ট্রবেরি চাষ করে নিজের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি অনেকের ভাগ্য বদলের কাজ করে যাচ্ছেন। এ জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন।
স্ট্রবেরি খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল হওয়ায় এবং ব্যাপক চাহিদা থাকায় এখন পাহাড়ের গতানুগতিক জুম চাষের বদলে মাচিং নুর দেখাদেখি বর্তমানে অনেক আদিবাসী বেছে নিচ্ছেন স্ট্রবেরি চাষ। বান্দরবান সদর উপজেলার ডলুপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে এ চাষাবাদ। তার হাত ধরেই পাহাড়ের গতানুগতিক জুম চাষাবাদ ছেড়ে অনেকে নেমে পড়েছেন স্ট্রবেরি চাষাবাদে।
স্ট্রবেরি চাষে সাফল্যের কথা জানতে চাইলে মাচিং নু জানান, ২০১১ সাল থেকে তিনি চাষ করছেন। রাঙামাটির মানিকছড়ির কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাত্র ৩৬টি চারা এনে ২০ শতক জায়গার ওপর চাষাবাদ শুরু করেন। প্রথম বছরে মাত্র ১০ হাজার টাকা খরচ করে লাভ করেন দেড় লাখ টাকা।
মাচিং নু জানান, চলতি বছর তিনি জেলা সদরের আদিবাসীপল্লি কিবুকপাড়া, ডলুপাড়া ও বালাঘাটায় পাঁচটি জায়গায় চাষাবাদ করছেন। আর এ কাজে শ্রমিক হিসেবে প্রতিদিন কাজ করেন পাঁচ আদিবাসী।
মাচিং নু মার্মার স্বামী এ্যানি মং মার্মা বলেন, একটি চারা থেকে ২৫০ গ্রামের বেশি স্ট্রবেরি পাওয়া যায় এবং এক একর ভূমিতে ২০ হাজার চারা লাগানো যায়। স্ট্রবেরির পাশাপাশি তিনি একই জমিতে ‘ক্যাপসিকাম’ নামের সবজির চাষ করছেন।
অক্টোবরে চারা রোপণ করলে মার্চ পর্যন্ত স্ট্রবেরি পাওয়া যায়। পানি আর সার দিয়ে পরিচর্যা করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। পাহাড়ের জুম চাষাবাদের মতো স্ট্রবেরি চাষাবাদে তেমন কষ্ট না থাকায় স্থানীয় আদিবাসীরা এ চাষাবাদে এগিয়ে এলে শ্রমের তুলনায় অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন বলে মনে করছেন অনেকে।
কিবুকপাড়ার আরেক স্ট্রবেরি চাষি উ চিং মং মার্মা বলেন, ‘আমাদের এই বোন (মাচিং নু) এখন এলাকার সবাইকে এই চাষাবাদের পদ্ধতি শিখিয়ে চাষাবাদে উৎসাহ প্রদান করছেন।’
বর্তমানে বান্দরবানের বাজারে সাড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে স্ট্রবেরি। প্রচুর স্ট্রবেরি উৎপন্ন হলেও এর কোনো পাইকারি বাজার বা পাইকার না থাকায় তাকে প্রতিদিন জেলা শহরে স্ট্রবেরি সরবরাহ করতে হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবুল কালম বলেন, ‘স্ট্রবেরি জেলার জন্য নতুন ফল। যদি মাটি ও আবহাওয়ার অনুকূলে থাকে, তাহলে আমরা উৎসাহ দেব।’

সংগৃহীত ও সংকলিত
তথ্য: 
তথ্য আপা
Read More

অল্প টাকায় করতে পারেন মাশরুম চাষ

12:04 PM 0

ভুমিকা
http://www.agronewsbd.com/admin/images/30137675875756room%201.jpgমাশরুম চাষ কিভাবে করা যায়, চাষ করার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে কিনা, এক বিঘা জমির উৎপাদন খরচ, এর পুষ্টিমান এবং সর্বোপরি এর মাধ্যমে কিভাবে বাড়তি আয় করা সম্ভব, সেই বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
‘‘মাশরুম” ব্যাঙের ছাতার মতো এক ধরণের ছত্রাক জাতীয় গাছ। মাশরুম ও ব্যাঙের ছাতা দেখতে একই রকম হলেও এদের মাঝে অনেক পার্থক্য আছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে জন্ম নেওয়া কোন কোন মাশরুম বিষাক্ত হয় এবং সেগুলো খাওয়া যায় না। সূর্যের আলোয় প্রাকৃতিকভাবে খুব বেশি মাশরুম জন্মাতে পারে না তাই প্রাকৃতিক উপায়ে খাবারের জন্য বেশি করে মাশরুম পাওয়া যায় না। আমাদের দেশে অনেক স্থানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাশরুম চাষ করা হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষকরা মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। আমাদের দেশের অনেক জায়গায় বিশেষ করে ঢাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, মধুপুর প্রভৃতি স্থানে এখন ব্যবসায়িক ভিত্তিতে মাশরুম চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে। মাশরুম চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বাড়তি আয় করাও সম্ভব। মাশরুম চাষ করতে আবাদী জমির প্রয়োজন হয় না।
বাজার সম্ভাবনা
আমাদের দেশের বড় বড় শহরগুলোর বিভিন্ন হোটেল ও চাইনিজ হোটেলগুলোতে মাশরুমের চাহিদা আছে। তাই আপাত দৃষ্টিতে মাশরুমের বাজার মূলত শহরে গড়ে উঠেছে। এছাড়া বিদেশে এর চাহিদা রয়েছে। মাশরুম শুকিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। এজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিদেশে সবজি ও কাঁচামাল পাঠায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাশরুম বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।
প্রয়োজনীয় মূলধন
মাশরুম চাষ করার জন্য ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার প্রয়োজন হবে। যদি ব্যক্তিগত পূঁজি না থাকে তাহলে মূলধন সংগ্রহের জন্য নিকট আত্মীয়স্বজন, ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের (এনজিও) সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এসব সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।
ব্যাংকঃ
সোনালী ব্যাংকঃ http://www.sonalibank.com.bd/
জনতা ব্যাংকঃ http://www.janatabank-bd.com/
রূপালী ব্যাংকঃ http://www.rupalibank.org/rblnew/
অগ্রণী ব্যাংকঃ http://www.agranibank.org/
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকঃ www.krishibank.org.bd/
এনজিও
আশাঃ http://asa.org.bd/
গ্রামীণ ব্যাংকঃ http://www.grameen-info.org/
ব্রাকঃ http://www.brac.net/
প্রশিকাঃ http://www.proshika.org/
আয়-ব্যয় ও লাভের হিসাব
অয়েস্টার মাশরুমের পাপড়ি বেশি ছড়ানোর আগেই তুলে গোড়া থেকে সামান্য কেটে ফেলতে হবে। পলি প্রোপাইলিনের প্যাকেটে কয়েকটা ছিদ্র করে এর মধ্যে মাশরুমগুলো ভার মুখ বন্ধ করে এই প্যাকেট বাজারজাত করতে হবে। প্রতিটি বীজ বা স্পন থেকে প্রায় ২০০ গ্রাম মাশরুম পাওয়া যায়। সুতরাং ২০০টি বীজ বা স্পন থেকে প্রায় ৪০ কেজি মাশরুম পাওয়া সম্ভব হবে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি মাশরুমের দাম প্রায় ১২০ টাকা।
৪০ কেজির দাম
৪৮০০ টাকা।
কাঁচামাল ও অন্যান্য খরচ প্রায়
২৫০০ টাকা।
সুতরাং ৪০ কেজি মাশরুম বিক্রয় করে লাভ প্রায় ২৩০০ টাকা।
প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান
স্থায়ী উপকরণ
উপকরণ
পরিমাণ
আনুমানিক মূল্য (টাকা
প্রাপ্তিস্থান
গামলা
১টা
৬০-৮০
থালা-বাটির দোকান
ছোট চা-চামচ
১টা
১০-১৫
থালা-বাটির দোকান
ব্লেড
১টা
২-৫
মুদি দোকান
ছুরি
১টা
২০-৩০
থালা-বাটির দোকান
পলিপ্রোপাইল ব্যাগ
১০টা
২০-৩০
মুদি দোকান
মোট খরচ=১১২-১৬০ টাকা
কাঁচামাল 
উপকরণ
পরিমাণ
আনুমানিক মূল্য (টাকা
প্রাপ্তিস্থান
মাশরুম বীজ বা স্পন
২০০ টা বা ১০০ কেজি
২০০০
ঢাকা জেলার সাভার
যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ

৫০০

মোট খরচ=২৫০০ টাকা
মাশরুমের উপকারিতা
মাশরুমে প্রচুর প্রোটিন, খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন আছে। তাই খাদ্য হিসেবে এটা খুবই পুষ্টিকর। এর উপকারিতাসমূহ হল-
  • রক্তে চিনির সমতা রক্ষা করে ফলে ডায়াবেটিক রোগী এবং যারা স্থুল বা স্বাস্থ্যবান তাদের জন্য উপযুক্ত খাবার।
  • মাশরুম দেহের ক্ষয়পূরণ, হাড় গঠন ও দাঁত মজবুত করে।
  • রক্তহীনতা, বেরিবোধ, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
খাবারের উপযোগী মাশরুম
আমাদের দেশে সাধারণত খাবারের উপযোগী তিন জাতের মাশরুম চাষ হয় -
  • স্ট্র মাশরুম : ধানের খড়, শিমুল তুলা, ছোলার বেসন ও চাউলের কুড়া ইত্যাদি উপকরণ ব্যবহার করে স্ট্র মাশরুম চাষ করা হয়। আমাদের দেশে সাধারণত মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এর চাষ করা যায়।
  • ইয়ার মাশরুম: সাধারণত বর্ষাকালে প্রাকৃতিকভাবে আম গাছে ইয়ার মাশরুম পাওয়া যায়। ইয়ার মাশরুম দেখতে কালচে রঙের। ইয়ার মাশরুম সারাবছর চাষ করা গেলেও সাধারণত বর্ষাকালে এর ফলন ভালো হয়।
  • অয়েস্টার মাশরুম: আমাদের দেশে এই জাতের মাশরুম চাষ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। সারাবছরই এই মাশরুম চাষ করা যায় তবে শীত ও বর্ষাকালে এর ফলন ভালো হয়। অয়েস্টার মাশরুম খুব সহজে চাষ করা যায় এবং এর জন্য খুব অল্প জায়গার প্রয়োজন হয়।
মাশরুম উৎপাদন কৌশল
চাষের উপযোগী স্থান
মাশরুম খোলা জায়গায় চাষ করা যায় না। তাই এর জন্য আবাদী জমির প্রয়োজন হয় না। মাশরুম চাষ করার জন্য ছায়াযুক্ত জায়গায় ছন বা বাঁশের চালা দিয়ে ঘর তৈরি করতে হয়। মাটির দেওয়াল দিয়েও ঘর তৈরি করা যায়। আবার বাঁশের বেড়াও দেওয়া যায়। ঘরের ভেতর যাতে আলো ঢুকতে না পারে সেজন্য বাঁশের বেড়ায় মাটি লেপে দিতে হয়। 

অয়েস্টার মাশরুম চাষ পদ্ধতি
অয়েস্টার মাশরুম বীজ বা স্পন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ জোগাড় করে মাশরুম চাষ শুরু করা যাবে। ধাপে ধাপে মাশরুম চাষ করতে হয়।
১ম পদ্ধতি
  • মাশরুম চাষ কেন্দ্র থেকে মাশরুমের বীজ বা স্পন প্যাকেট সংগ্রহ করতে হবে। বীজ বা স্পনের দুই পাশে কিছুটা গোল করে কেটে চেঁছে নিতে হবে।
  • মাশরুমের প্যাকেট পানিতে ৩০ মিনিটের জন্য ডুবিয়ে রাখতে হবে। ৩০ মিনিট পরে পানি থেকে মাশরুমের প্যাকেট উঠিয়ে নিতে হবে।
  • অতিরিক্ত পানি ঝরানোর জন্য মাশরুমের প্যাকেট ৫ থেকে ১০ মিনিট উপুড় করে রাখতে হবে। পানি ঝরে গেলে ঘরের নির্ধারিত জায়গায় রেখে দিতে হবে। প্রতিদিন এর উপর তিন থেকে চারবার করে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
  • সাধারণত ৩ থেকে ৪ দিন পর কাটা জায়গা থেকে অঙ্কুর গজায়। অঙ্কুর গজানোর পর মাঝে মাঝে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
  • খাওয়ার উপযোগী মাশরুম উৎপন্ন হতে ৫ বা ৬ দিন সময় লাগে। খাবার উপযোগী মাশরুম উৎপন্ন হলে তা গোড়া থেকে তুলে নিতে হবে।
  • বীজের যে জায়গা কাটা হয়েছিল তা ব্লেড দিয়ে একটু চেঁছে দিতে হবে। এই বীজ থেকে আবার মাশরুম গজাবে।
  • একটা আধা কেজি ওজনের বীজ বা স্পন প্যাকেট থেকে ৩-৪ বার মাশরুম পাওয়া যায়। এতে মোট ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম মাশরুম পাওয়া যাবে।
২য় পদ্ধতি
  • মাশরুম চাষ কেন্দ্র থেকে বীজ বা স্পন সংগ্রহ করতে হবে। এক কেজি ওজনের একটি বীজের পলিথিন খুলে ভিতরের কম্পোস্ট গুঁড়ো করে নিতে হবে।
  • দুই কেজি পরিমাণ ধানের পরিষ্কার ও শুকনো খড় সংগ্রহ করতে হবে। খড়গুলোকে এক ইঞ্চি মাপে কেটে টুকরা করতে হবে।
  • পরিমাণ মতো পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। খড়গুলো জীবাণুমুক্ত করার জন্য ফুটন্ত পানিতে খড়ের টুকরোগুলো এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
  • খড়গুলো পানি থেকে তুলে চিপে পানি শূন্য করে একটি পাত্রে রাখতে হবে।
  • পাঁচটি পলিব্যাগ নিয়ে পলিব্যাগের ভেতরে প্রথমে কিছু খড় বিছিয়ে নিতে হবে। খড়ের উপর মাশরুম বীজের গুঁড়ো দিতে হবে। এভাবে একটি পলিব্যাগে চার স্তরে খড় আর মাশরুম বীজের গুঁড়ো বিছিয়ে দিতে হবে। শেষ স্তরে আবার খড় বিছিয়ে দিতে হবে।
  • খড় বিছানো শেষ হলে খুব শক্ত করে পলিব্যাগ বাঁধতে হবে। এভাবে প্রতিটি পলিব্যাগ বাঁধতে হবে।
  • পলিব্যাগের চার দিকে ১০-১২টি ছিদ্র করতে হবে। এরপর ব্যাগগুলোকে বীজে পরিণত হওয়ার জন্য ১৫-১৮ দিন রেখে দিতে হবে।
  • ১৫-১৮ দিন পরে পলিব্যাগগুলো খুলে বীজের দলাগুলো বের করে নিতে হবে।
  • প্রতিটি বীজের দলা শিকায় করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে এবং প্রতিদিন ৪-৫ বার করে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
  • ৩-৪ দিন পর চারদিক দিয়ে মাশরুমের অঙ্কুর গজাতে শুরু করবে। ৪-৬ দিন পর খাওয়ার উপযোগী মাশরুম গোড়া থেকে তুলে নিতে হবে।
  • এভাবে মাশরুম চাষে লাভ বেশি হবে। কারণ প্রতিটি পলিব্যাগ থেকে প্রায় আধা কেজি মাশরুম পাওয়া যাবে। সুতরাং পাঁচটি ব্যাগ থেকে প্রায় আড়াই কেজি মাশরুম উৎপন্ন হবে।
সাবধানতা
  • বীজ বা স্পনে কোনভাবেই সূর্যের আলো পড়তে দেওয়া যাবে না। সবসময় ঘরটি ঠান্ডা রাখতে হবে। খুব বেশি গরম পড়লে ঘরের চারদিকে বস্তা ঝুলিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
  • মাশরুম ঘর ও ঘরের বাইরের চারদিক সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অপরিচ্ছন্ন জায়গায় মাশরুম ফ্লাই নামের পোকা মাশরুমের ক্ষতি করে।
  • কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না।
প্রশিক্ষণ
সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় ঢাকা জেলার সাভারে অবস্থিত ‘মাশরুম চাষ কেন্দ্র’ আছে। এছাড়া বাংলাদেশের নানা স্থানে “মাশরুম চাষ কেন্দ্রের” ১৬টি শাখা আছে। মাশরুম চাষ করে ব্যবসা করার জন্য এসব মাশরুম চাষ কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে নেওয়া যাবে। এছাড়া মাশরুম চাষ সম্পর্কে বাজারে অনেক বই পাওয়া যায়। এসব বই পড়ার মাধ্যমেও মাশরুম চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে মাশরুম চাষের বিস্তারিত জেনে নিলে চাষ করতে সুবিধা হবে এবং উন্নতমানের মাশরুম পাওয়া সম্ভব হবে।

প্রশিক্ষন প্রদানকারী সংস্থা:
ব্রাকঃ http://www.brac.net/
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরঃ www.dyd.gov.bd
বিসিকঃ http://www.bscic.gov.bd/
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরঃ http://www.dwa.gov.bd/
মাশরুম মূল্যবান সবজি। বিদেশে এর যথেষ্ট চাহিদা আছে। মাশরুমের পুষ্টি ও ঔষধি গুণের কথা বলে সাধারণ মানুষকে মাশরুম খাওয়ার জন্য উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। তাহলে সাধারণ বাজারেও এর চাহিদা বাড়বে। আমাদের দেশে এখনও যে খাদ্য ঘাটতি আছে, মাশরুম কিছুটা হলেও তা পূরণ করতে পারে।
কিছু উল্লেখযোগ্য কেস স্টাডি
নারীদের কর্মসংস্থান হতে পারে মাশরুম
http://www.public-post.com/wp-content/uploads/2011/06/women-cultivating-mushroom-Bangladesh.jpg
এবার শিরোনাম প্রসঙ্গে আসা যাক। মানে কিভাবে নারীরা মাশরুম চাষ করে আয় করতে পারে এবং সাবলম্বি হতে পারে সে প্রসঙ্গ। উপরের আলোচনা থেকেই জানা গেছে যে মাশরুম চাষ খুবই সহজ একটি পদ্ধতিতে করা যায়। জায়গা কম লাগে এবং মাত্র আনুমানিক ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই মাশরুম চাষ শুরু করা যেতে পারে। তবে ব্যবসা শুরুর আগে এ women-cultivating-mushroom-Bangladesh বিষয়ে অবশ্যয় প্রতিক্ষন নিতে হবে। নারীদের জন্য সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে প্রশিক্ষন প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা করা হচ্ছে। গ্রামের বেশিরভাগ নারীই গ্রিহিনী কেউ কেউ হয়ত হস্তশিল্প বা এ জাতীয় কিছু কাজের সাথে জড়িত। এসব বেকার নারীরা খুব সহজেই মাত্র কিছু দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম চাষের ব্যবসা শুরু করতে পারে।

ইতিমধ্যে অনেক এলাকায় মাশরুম চাষ একটি জনপ্রিয় ব্যবসা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর এবং রাজশাহীসহ অনেক জায়গায় মাশরুম চাষ অত্যন্ত জনপ্রিয়। ঢাকা শহরেও বিভিন্ন এলাকায় যেমন গোড়ান, কোর্ট কাচারি, রামপুরা, বনশ্রী, সাভার এবং টঙ্গীতে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ হচ্ছে। এসব জায়গায় পুরুষদের পাশাপশি নারীরাও এগিয়ে। তবে একটি রিপোর্ট থেকে মহিলাদের মাশরুষ চাষের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতার কথা জানা যায়। এগুলো বস্তুত অন্যান্য সমস্যার মত পিছিয়ে থাকা মহিলাদের গতানুগতিক সমস্যার সমরূপ। সমস্যগুলোর দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নিন; সমাধানের চেষ্টা করুন।
কেস স্টাডি
ঝালকাঠিতে মাশরুম চাষে ১০ পরিবারের সাফল্য
http://www.ajkerbangladesh24.com/wp-content/uploads/2013/12/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%AE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%87.jpg
ঝালকাঠি সদর উপজেলায় দ্বিতীয় শস্য বহুমূখী প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলক মাশরুম চাষে সফলতা অর্জন করেছে ১০ টি পরিবার। প্রান্তিক চাষিরা জানান, সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ মাশরুম চাষ করা হয়। সদর উপজেলার গাবখান ধানসিড়ি ইউনিয়নের সাবেক সদস্য মাশরুম চাষী মেরিনা বেগম জানান, কৃষি বিভাগের অধীনে ঢাকার সাভারে মাশরুম সেন্টারে গিয়ে মাশরুম চাষ পদ্ধতির বিষয়ে ১ দিনের প্রশিক্ষন দিয়েই আমরা মাশরুম চাষ শুরু করি।

ঝালকাঠি থেকে মেরিনাদের সাথে প্রশিক্ষনে অংশ নেয় ৩৫ জন নারী। সেখান থেকে প্রশিক্ষন শেষে তারা ১০ জনে মাশরুমের ৫শ’ স্পন (প্যাকেট) নিয়ে প্রত্যেকে ৫০ টি করে স্পন নিয়ে ঘরের বারান্দায় তাকে সাজিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করে।
চাষের ১০ দিনের মাথায় মাশরুম ফলে শুরু। ৫০ স্পনে ২ থেকে আড়াই কেজি মাশরুম উৎপাদন হয়। কৃষি বিভাগের অফিসার, শিক্ষিত ও সচেতনরাই চাষীদের কাছ থেকে কিনে নেয়।’ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আহম্মেদ খান জানান, মাশরুম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন পুষ্টিকর সবজি জাতীয় একটি খাবার।
মাশরুম চাষে কোন আবাদি জমির দরকার হয় না এবং স্বল্প সময়ে ৭-১০ দিনের মধ্যে মাশরুম পাওয়া যায়। মাশরুমের প্যাকেটে শীতে ২ বার, বর্ষার দিনে ২/৩ বার এবং গরমে ৪/৫ বার স্প্রে করে ভিজা ভিজা ভাব রাখতে হবে। প্যাকেটের বাইরে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ তাপমাত্রার আর্দ্রতা রাখা দরকার।
তাহলেই ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদটি সবজি আকার ধারণ করে উৎপাদন হতে থাকবে। ১০/১৫ দিন পর পর মাশরুম সংগ্রহ করা যাবে।’ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চিন্ময় রায় জানান, ‘মাশরুমে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল উঁচু মাত্রায় রয়েছে। এতে আমিষ, শর্করা, সবজি, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেলের অপূর্ব সমন্বয় রয়েছে।
ফলে দেহের ইম্যুন সিস্টেম উন্নত করে। এই প্রোটিনে মানবদেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ৯ টি এমাইনো এসিডই প্রশংসনীয় মাত্রায় আছে।’ ঝালকাঠিতে মাশরুম চাষে সফলতা অর্জনকারী চাষীরা হল নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের পেরন্ডা গ্রামের ফরিদ বাবুল, চাচৈর গ্রামের আবুল বাশার শরীফ, গাবখান ধানসিড়ি ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম, সাচিলাপুর গ্রামের মেরিনা বেগম, যোগেশ্বর গ্রামের পেয়ারা বেগম, বাসন্ডা ইউনিয়নের খোকন শরীফ, চামটা গ্রামের মাহমুদা বেগম, কেওড়া ইউনিয়নের পিপলিতা গ্রামের মনোয়ারা বেগম, বিনয়কাঠি ইউনিয়নের মানপাশা গ্রামের কহিনুর বেগম, নবগ্রাম ইউনিয়নের বেতরা গ্রামের আশিষ কুমার দাস।

সংগৃহীত ও সংকলিত
তথ্য: 
তথ্য আপা
Read More

অল্প টাকায় করুন আলুর চিপস তৈরি

12:01 PM 0
"সবজি ছাড়াও আলু দিয়ে নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। এর মধ্যে আলুর চিপস হল অন্যতম। ছোট বড়সবার কাছেই আলুর চিপস প্রিয় একটি খাদ্য। আলুর চিপস ছোটবড় সবার কাছেই খুব প্রিয় একটি খাবার। সব সময়ই এর চাহিদা থাকে। আলুর চিপস তৈরি করে বিক্রির জন্য বিভিন্ন খাবারের দোকান, কনফেকশনারিতে সরবরাহ করা যায়। এছাড়া আলুর চিপস তৈরি করে হাট বাজার, বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করে আয় করা সম্ভব। "
আমাদের দেশে প্রতিবছর অনেক আলুর চাষ হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আলু হচ্ছে প্রধান খাদ্য। আমাদের দেশেও আলু জনপ্রিয় সবজি। সবজি ছাড়াও আলু দিয়ে নানা ধরণের সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। এর মধ্যে আলুর চিপস হল  অন্যতম। ছোট বড় সবার কাছেই আলুর চিপস প্রিয় একটি খাদ্য। যে কোন ব্যক্তি আলুর চিপস তৈরি ব্যবসা শুরু করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
বাজার সম্ভাবনা
আলুর চিপস ছোট বড় সবার কাছেই খুব প্রিয় একটি খাবার। সব সময়ই এর চাহিদা থাকে। আলুর চিপস তৈরি করে বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন খাবারের দোকান, কনফেকশনারীতে সরবরাহ করা যায়। এছাড়া আলুর চিপস তৈরি করে হাট বাজার, বিভিন্ন মেলায় বিক্রয় করে আয় করা সম্ভব।
মূলধন
আলুর চিপস তৈরির জন্য স্থায়ী উপকরণ কিনতে আনুমানিক ৬১০ - ৬৭৫ টাকার প্রয়োজন হবে। আনুমানিক ৬৭৪-৭৪২ টাকা বিনিয়োগ করে ১০ কেজি আলুর চিপস তৈরি করার কাঁচামাল কেনা যাবে। যদি ব্যক্তিগত পূঁজি না থাকে তাহলে মূলধন সংগ্রহের জন্য নিকট আত্মীয়স্বজন, ঋণদানকারী ব্যাংক (সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক) বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (আশা, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্রাক, প্রশিকা) -এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এসব সরকারি, বেসরকারি ব্যাংক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।
প্রয়োজনীয় উপকরণপরিমাণমূল্য  ও প্রাপ্তিস্থান
স্থায়ী উপকরণ 
উপকরণ
পরিমাণ
আনুমানিক মূল্য (টাকা)
প্রাপ্তিস্থান
চুলা
১টি
১০০-১২০
বানিয়ে নেয়া সমভব
বড় পাত্র
১টি
১৫০-১৬০
তৈজসপত্রের দোকান
চামচ
১টি
৩০-৩৫
তৈজসপত্রের দোকান
ছুরি
১টি
৪০-৪৫
তৈজসপত্রের দোকান
কড়াই
১টি
১৫০-১৬০
তৈজসপত্রের দোকান
চালনি
১টি
৩০-৩৫
তৈজসপত্রের দোকান
বটি
১টি
৬০-৬৫
তৈজসপত্রের দোকান
পলি প্রোপাইল প্যাকেট
১০০
৫০-৫৫
মুদি দোকান
মোট=৬১০-৬৭৫ টাকা
কাঁচামাল (১০ কেজি আলুর চিপস তৈরির জন্য)
উপকরণ
পরিমাণ
আনুমানিক মূল্য (টাকা)
প্রাপ্তিস্থান
আলু (বড়)
২০কেজি
৪০০-৪৫০ টাকা
সবজি দোকান
সয়াবিন তেল
৩ কেজি
২৪০-২৫০ টাকা
মুদি দোকান
 লবণ
৫০০ গ্রাম
১০-১২ টাকা
মুদি দোকান
বিট লবণ
৫০০ গ্রাম
৮-১০ টাকা
মুদি দোকান
গোলমরিচ
১০০ গ্রাম
৮-১০ টাকা
মুদি দোকান
রঙ
পরিমাণ মত
৮-১০ টাকা
মুদি দোকান
মোট=৬৭৪-৭৪২ টাকা
আলুর চিপস তৈরি করার নিয়ম 
  • প্রথমে খোসাসহ আলু পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
  • ধারালো ছুরি বা বটির সাহায্যে আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে।
  • এরপর ধারলো ছুরি বা বটি দিয়ে আলুগুলো চাক চাক করে কেটে নিয়ে এক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তাহলে আলুর কষ বের হয়ে যাবে।
  • আলুর চাকগুলো চালুনীতে রেখে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
  • এরপর চুলায় রাখা গরম পানিতে  একটু লবণ ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে চাক চাক করে কাটা আলুগুলো আস্তে আস্তে ছেড়ে দিতে হবে।
  • আলুগুলো সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত পানিতে রাখতে হবে। সিদ্ধ হয়ে গেলে, আলুগুলো তুলে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
  • এরপর আলুগুলো পাটির উপর একটা একটা করে বিছিয়ে দিয়ে রোদে শুকাতে হবে।
  • আলুগুলো ভালোভাবে শুকালে তা তুলে ফেলতে হবে।
  • এরপর আলুগুলো চুলার উপর একটা কড়াইতে সয়াবিন তেলে ডুবিয়ে ভেজে নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আলুগুলো বাদামী বা হলুদ রঙ ধারণ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভাজতে হবে।
  • ভাজা হয়ে গেলে কড়াই থেকে নামিয়ে একটা চালুনীতে রেখে অতিরিক্ত তেল ঝরিয়ে নিতে হবে।
  • চিপসগুলো সামান্য গরম থাকতেই তার উপর কিছু লবণ ও মরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে প্যাকেট করতে হবে।
সাবধানতা
চিপস তৈরির সময় প্রয়োজনীয় উপকরণ ও রান্নার জায়গা অবশ্যই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আয় ও লাভের হিসাব
মোট খরচ 
খরচের ক্ষেত্র
আনুমানিক মূল্য (টাকা)
১০ কেজি আলুর চিপস তৈরি করতে কাঁচামাল বাবদ খরচ
৬৭৪-৭৪২ টাকা
স্থায়ী উপকরণের অবচয় (ক্ষতি) বাবদ খরচ
১০-১৫ টাকা
যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ
৫০-৬০ টাকা
মোট খরচ
৭৩৪-৮১৭ টাকা
আয় ও লাভ   
১ কেজি আলুর চিপস এর দাম ৯০-১০০ টাকা হলে
১০ কেজি আলুর চিপস এর বিক্রয় মূল্য 
৯০০-১০০০ টাকা 
১০ কেজি আলুর চিপস তৈরিতে খরচ
৭৩৪-৮১৭ টাকা
১০ কেজি আলুর চিপস বিক্রয় করে লাভ
১৬৬-১৮৩ টাকা
বিনিয়োগ ও বিক্রয়ের উপর ব্যবসার লাভ-ক্ষতি ও আয় নির্ভর করে। অনেক সময় জিনিসপত্রের দাম উঠা-নামা করে। তাই এই ক্ষেত্রে হিসাব শুধুমাত্র ধারণা দেওয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে লাভের পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে।
স্থায়ী উপকরণগুলো একবার কিনলে অনেকদিন ধরে কাজ করা যাবে। ব্যবসার শুরুতেই এ খরচটি করতে পারলে পরবর্তীতে শুধু কাঁচামাল কিনে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব।

সংগৃহীত ও সংকলিত
তথ্য: 
তথ্য আপা
Read More

অন্যান্য বিষয় খুজুন-

Post Top Ad